সংবাদ প্র তিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিসর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের ফুর্তির ভিডিওতে তোলপাড় সোশাল মিডিয়ায়। আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এক ছবি তুলে ধরে অভিযুক্তদের সঙ্গে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের মুখ চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার নামও জড়িয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। এবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হলেন আসফাকুল্লা। জানালেন, আন্দোলনের সময় বহু মানুষের সঙ্গে ছবি উঠেছে, তা ব্যবহার করে যে কোনও ঘটনায় নাম জুড়ে দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত কেউ ডাক্তার হোক বা মন্ত্রী, তাঁদের শাস্তির দাবিতেই সরব হবেন তাঁরা, তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন। এদিকে অভিযুক্ত শৌনক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মানহানি মামলার।
গত কয়েকদিন ধরেই রিসর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের ফুর্তি, গ্রেপ্তারি নিয়ে শোরগোল চলছে। মদ্যপ কি না পরীক্ষার সময় চিকিৎসকদের অশান্তির ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ওই ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়েছে, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মুখ শৌনক-সোহমরা। তাঁরা ‘দ্রোহের রাত্রিবাস’করতে গিয়েছিলেন। গোটা ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের কাছে ডক্টরস ফ্রন্টের এই সমস্ত বিপ্লবীদের মুখ ও মুখোশ খুলে দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। সেই পোস্টে ব্যবহার করা হয়েছে, আন্দোলনের মুখ আসফাকুল্লা নাইয়ার ছবি। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেই সরব হলেন চিকিৎসক। লিখলেন, 'এখন যেখানে যে জুনিয়র ডাক্তার যা ভুল করছে কিছু ব্যক্তি ইউটিউবে অথবা লেখালেখি করে তাঁদেরকে আন্দোলনের মুখ বানাচ্ছেন। আমাদের কয়েকজন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।' শৌনকদের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে লিখলেন, 'আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরই কলেজের পিজিটি,জুনিয়রদের একে একে চিনছি। অন্য কলেজের ডাক্তারদের আগে থেকে চেনা সম্ভব নয়। পুরো আন্দোলনে দু'মাস রাস্তায় থাকার সময় অনেক অজানা ব্যক্তির সঙ্গে ছবি থাকতেই পারে।'
পাশাপাশি স্পষ্ট করে জানিয়েদিলেন, কোনও অসামাজিক কাজে তাঁর যোগ নেই। বা এধরনের কাজকে তিনি সমর্থনও করেন না। লিখলেন, 'অন্যায় করি না। আশাকরি করব না। অন্যায়কারীদেরও সমর্থন করি না । করব ও না। আমার কাছে আন্দোলনকারী কোনও ডাক্তার ও যদি অন্যায় করে, সে আগে অন্যায়কারী, পরে ডাক্তার।' উল্লেখ্য, ওই ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শৌনক কুণ্ডু বলেছেন, তাঁদের অনুমতি নিয়ে কোনও ভিডিও করা হয়নি। ফলত তিনি মানহানির মামলা করবেন। এতেই স্পষ্ট রিসর্ট ও থানার অশান্তির তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়ো নয়।