দিপালী সেন: উৎসবের মরশুমে দর্শনার্থীদের পথে নামার প্রথম দিন থেকেই যানজটমুক্ত ভিআইপি রোড। শনিবার, ষষ্ঠীতেও বদলায়নি সেই চিত্র। উল্টোডাঙাগামী দিকে গাড়ির গতি একটু ধীর হলেও, এয়ারপোর্টের দিকের রাস্তায় মসৃণভাবে ছুটছে গাড়ি। গত বছর ভিআইপি রোডের দু’দিকেই যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। যান চলাচল সচল করতে অষ্টমীতে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। এবছর শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তা ও বিধাননগর পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাস্তা যেন কোনওভাবেই বন্ধ না হয়। তা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। ফলস্বরূপ যানজটমুক্ত থাকছে ভিআইপি রোড।
এবছর গোলাঘাটা এবং বাঙুরের মাঝে থামতে দেওয়া হচ্ছে না কোনও বাস বা গাড়ি। উল্টোডাঙা থেকে সার্ভিস রোড হয়ে গোলাঘাটা পর্যন্ত আসছে বাস, সেখানে দর্শনার্থীদের নামিয়ে প্রধান রাস্তায় উঠে যাচ্ছে। তারপর একেবারে গিয়ে থামছে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে। আবার যশোর রোডের সঙ্গে ভিআইপি রোড সংযোগকারী রাস্তাগুলি দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাস। ফলে, বেশ কিছু রুটের বাসকে পথ পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যেমন, বাবুঘাট থেকে হাতিয়ারাগামী ৩০সি বাস লেকটাউন দিয়ে ভিআইপিতে উঠে। কিন্তু, রাস্তাটি বাসের জন্য বন্ধ থাকায় যশোর রোড দিয়ে এক নম্বর এয়ারপোর্ট এসে উঠছে ভিআইপি রোডে। ২২১ নম্বর রুটের বাসও নাগেরবাজার থেকে লেকটাউন দিয়ে ভিআইপিতে আসার পরিবর্তে এক নম্বর এয়ারপোর্ট দিয়ে আসছে।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সচেতনতায় নয়া উদ্যোগ কলকাতায়, পুজোয় ‘ব্যাট’ হাতে মণ্ডপে-মণ্ডপে মশা খুঁজছে ২ খুদে]
বিকেল থেকে ভিআইপি রোডে অটো চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পথচারীদের রাস্তা পারাপারও বন্ধ করা হয়েছে। রাস্তা পারাপারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে একাধিক সাবওয়ে। যানজট সামাল দিতে বিধাননগর পুলিশ ফিরিয়ে এনেছে ভিআইপি রোডে ট্রাফিক সামলানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুলিশ আধিকারিকদের। গত বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশি সমন্বয় রয়েছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশের মধ্যে।
যদিও, মাঝে মধ্যে উল্টোডাঙার দিকে যেতে অল্পবিস্তর যানজট হচ্ছে। নেপথ্যে, বাসের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় গাড়ি পার্কিং। তবে, এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি চলাচলে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। স্কুল ও অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোর বাকি দিনগুলিতে যান চলাচল আরও বেশি মসৃণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিধাননগর পুলিশের আধিকারিকরা।