সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমন্ত্রণ পেয়ে প্রতিবেশী দেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকা সেখানকার পরিস্থিতিতে আটকে পড়েন। গোটা দেশে কারফিউ জারি হওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার (Pabitra Sarkar)। তাঁর দেশে ফেরা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকেও ঠিকমতো যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাঁর সঙ্গে। তবে অবশেষে বাংলাদেশেরই দুই শীর্ষ আমলার সাহায্যে সোমবার ভোরে বিশেষ বিমানে ফিরেছেন কলকাতায়। আর ফিরেই জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে যে দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, তা পবিত্রবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট। জানালেন, যে কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন, তা হয়নি। তবে তিনি নিরাপদেই 'বন্দি' ছিলেন।
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest)। লাগাতার ছাত্রবিক্ষোভ, হিংসা, মৃত্যু, পুলিশের দমনপীড়নের পর্ব পেরিয়ে অবশেষে সংরক্ষণের সুবিধায় বড়সড় রাশ টেনেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও উত্তরাধিকারীদের জন্য সংরক্ষণের হার ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। তবে তাতেও খুশি নয় পড়ুয়ারা। আন্দোলন জারি থাকবে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তবে অশান্ত দেশ থেকে ঘুরে এসে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্রবাবুর ধারণা, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ছাত্র আন্দোলন থেমে যাবে। যদিও এর আড়ালে যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Political clash) চলছে, তার ইতি ঘটবে কি না, সে বিষয়ে তিনি সন্দিহান।
[আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্য আনাজপাতি, আর্থিক সমীক্ষায় নির্মলা বলছেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে’]
কিন্তু যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, বাতিল ট্রেন-বাস সেখানে কীভাবে ফিরলেন পবিত্রবাবু? জানালেন, প্রশাসনিক দুই আধিকারিকের সাহায্যে বিমান বাংলাদেশের তরফে আগাম একটি টিকিট (Flight ticket) পেয়েছিলেন তিনি। তাতেই সোমবার ভোরে দেশে ফিরেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্রবাবু জানান, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অন্যতম উপদেষ্টা কবি কামাল নাসের ও আরেক আধিকারিক রোহন কুদ্দুসকে ফোন করে সাহায্যের কথা বলেছিলেন। তাঁরাই বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন।
[আরও পড়ুন: কানোয়ার যাত্রায় ‘নাম’ নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ, মহুয়া মৈত্রর আর্জি মানল সুপ্রিম কোর্ট]
কীভাবে ছিলেন, কোথায় ছিলেন? তা জানতে চাইলে পবিত্রবাবু বলেন, ''আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে কোনও ভয় ছিল না। তাঁরা আমাকে যত্ন করে, বাবার মতো করেই রেখেছিলেন। তবে যে কাজে গিয়েছিলাম, সেই কাজ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় (University) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেখানেও সংঘর্ষ হয়। আমি বাড়িতে বসেই সব শুনতে পাচ্ছিলাম। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর সর্বত্র সংঘর্ষ চলছে। দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তবে আশা করি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোটা কমানোর পর ছাত্ররা অন্তত নিজেদের আন্দোলন থামাবে।''