রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কাছের লোককে বুথ কিংবা মন্ডল সভাপতি পদে বসানো যাবে না। যোগ্যতার বিচারে নির্বাচন করতে হবে নেতৃত্ব। শনিবার সল্টলেকে দলীয় বৈঠকে জেলা সভাপতিদের ফের বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল।
সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য দলের ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার যে ৪৩জন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, বুথ বা মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে তাঁদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। দেখতে বলা হয়েছে, যেন যোগ্যরা পদে বসে। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপিতে পুরনোদের ফিরিয়ে এনে বুথ থেকে মন্ডল কমিটিতে দায়িত্ব দিতে হবে। পুরনো কর্মী যাঁরা বসে গিয়েছেন, তাঁদের ফের দলে নিয়ে এসে সক্রিয় করার জন্য রাজ্য ও জেলা নেতাদের এদিন এই নির্দেশও দিয়েছেন বনসল।
বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই। পুরনো বহু নেতা-কর্মী দূরে সরে গিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যে ক্ষমতাসীন শিবিরের নতুন নেতারা তাদের পছন্দমতো লোকেদের জেলা সভাপতি থেকে বুথস্তর পর্যন্ত পদে বসিয়েছিলেন। এর ফলে সাংগঠনিকভাবে বিজেপির কোনও লাভ হয়নি। এদিন দলের সাংগঠনিক নির্বাচন শুরুর আগের বৈঠকে ফের বনসল বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেসব আর চলবে না দলে। বুথ সভাপতি নির্বাচন ১৭ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বুথ সভাপতি পদে শক্ত সমর্থ কর্মীকেই বসাতে হবে। যে লড়াই করতে পারবে শাসকদলের সঙ্গে। এমনটাও এদিন বলে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা।
তবে বঙ্গ বিজেপির বুথ কমিটি এখনও পর্যন্ত কত শতাংশ বুথে আছে তার সঠিক হিসাব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ফলে আদৌ কত বুথে কমিটি করা সম্ভব হবে তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে পদ্মশিবিরেই। প্রতি বুথে কমপক্ষে ৫০ জন করে সদস্য যেন থাকে, এমন নির্দেশও এদিন দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যের ৫৬ হাজারের ওপরে বুথে বিজেপির সংগঠন রয়েছে বলে নেতাদের দাবি। মণ্ডলের সংখ্যা ১৩৪৩। এদিকে, লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হলেও বঙ্গ বিজেপির যে সদস্য সংগ্রহ হয়েছে তা নিয়ে খুশি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত এদিন বলেন, ১০ জানুয়ারির মধ্যে সংগৃহীত সদস্য সংখ্যা ৫০ লক্ষে পৌঁছে যাবে। এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।