shono
Advertisement

পাড়ায়-পাড়ায় বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা এখন আরও সহজ, বিধানসভায় পাশ বিল

ক্ষমতা বাড়ছে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।
Posted: 09:32 PM Jun 22, 2022Updated: 09:36 PM Jun 22, 2022

গৌতম ব্রহ্ম: তৃণমূলস্তরে চিকিৎসা পরিকাঠামোর সুব্যবস্থা পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। সুগম করতে চায় নয়া বিনিয়োগের পথও। সেই উদ্দেশ্যপূরণ করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। ক্ষমতা বাড়ানো হল জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

Advertisement

এবার থেকে পলি ক্লিনিক, ডায়গোনস্টিক সেন্টার কিংবা বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র অর্থাৎ যে কোনওরকম ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টের রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স দিতে পারবেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকই। ফলে নয়া বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে তৈরির ক্ষেত্রের লালফিতের ফাঁস আলগা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রোদ্দুর রায়, ২৬ জুন পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে ইউটিউবারকে]

বুধবার বিধানসভায় ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইনের সংশোধনী বিল (The West Bengal Clinical Establishment Bill, 2022) পেশ হয় বিধানসভায়। বিলটি পেশ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভোটাভুটিতে পাশও হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু বিরোধিতায় সরব হন বিরোধীরা। প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। এদিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০১৭ সালে এই আইন আনা হয়েছিল। মানুষ যাতে আরও ভাল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট পেতে পারে তাই এই সংশোধনী।”

এতদিন শুধুমাত্র রাজ্যের রাজস্ব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টের লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশনের ছাড়পত্র দিতে পারতেন। এবার সেই ক্ষমতা পেলেন স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও (CMOH)। প্রসঙ্গত, বাংলায় রাজস্ব জেলার (২৩) চেয়ে স্বাস্থ্য জেলার সংখ্যা (২৮) বেশি। এই সংশোধনী বিল পাশের ফলে পাড়ায়-পাড়ায় আরও বেশি সংখ্যক পলি ক্লিনিক বা ডায়গোনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠতে পারবে। তাও খুব সহজে।

[আরও পড়ুন: Baishakhi-Sovan: ‘দিদির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে’, তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোভন-বৈশাখী]

কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সংশোধনীর বিরোধিতায় সরব বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোদ টিগ্গা জানান, “আমরা এই সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করছি। এই সংশোধনী কার্যকরী হলে পাড়ায়-পাড়ায় আগাছার মতো ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট গড়ে উঠবে।” তাঁদের আরও অভিযোগ, “উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই স্রেফ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরির ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। যা আদপে মানুষের ক্ষতি করবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement