সুদীপ রায়চৌধুরী: শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। ভুল প্যানেলে যোগ্য-অযোগ্য মিলেমিশে একাকার হওয়ার 'শাস্তি' হিসেবে রাতারাতি 'বেকার' হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষকরা নিজেদের অধিকারের দাবিতে আগামী ৭ এপ্রিল, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে সমাবেশ করবেন। তাঁদের পাশে থেকে সেই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার পরই তিনি একথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কর্মসূচির পালটা দিতে পথে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। একইদিনে 'কালীঘাট চলো'র ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় মিছিল হবে বলে ঘোষণা করেছে তারা।
আচমকাই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। তার মোকাবিলা কীভাবে হবে, সেই আলোচনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামী ৭ তারিখ সমাবেশের আয়োজন করেছেন সদ্য চাকরিহারা ২৬ হাজার শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েও কর্মহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ হবে। এই দুঃসময়ে যাতে কেউ ভেঙে না পড়েন, সেই মানবিক সমর্থন জানাতেই তাঁর ওই সমাবেশে যোগদান। মনে করা হচ্ছে, ওইদিন পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখাও ঠিক করবেন চাকরিহারারা।
এরই পালটা দিতে বিজেপিও একইদিনে কর্মসূচি নিয়ে পথে নামছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপি যুব মোর্চার তরফ ঘোষণা করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির দাবি তুলে ওইদিন 'কালীঘাট চলো' অভিযানে নামছেন তাঁরা। আগেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যমে শুধু মুখ্যমন্ত্রী কেন, বিরোধী দলনেতাও ওইদিন মুখ দেখাবেন। তাঁরই পরামর্শমতো যুব মোর্চার এই কর্মসূচি বলে মনে করা হচ্ছে। ওইদিন কলকাতায় মিছিলও করবে বিজেপির যুব সংগঠন। এ থেকেই স্পষ্ট, চাকরিহারাদের পাশে থাকার চেয়েও বিজেপির এই কর্মসূচি অনেক বেশি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার।