সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরমে দাম্পত্য কলহ। স্বামীর হাতে খুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নাতনি! বুধবার এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে বিহারের গয়ায়। মৃতার নাম সুষমা দেবী। তাঁকে গুলি করে খুনের করার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গয়ার সাংসদ তথা ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগমন্ত্রী জিতন কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এহেন কাণ্ডে ভোটমুখী বিহারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন আটরি ব্লকের টেটুয়া গ্রামের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে ছিলেন সুষমা। সঙ্গে ছিলেন বোন পুনমও। তাঁর অভিযোগ, দুপুর ১২টা নাগাদ সুষমার স্বামী রমেশ কাজ থেকে ফেরেন। তখনই দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এক সময় অশান্তি চরমে ওঠে। রমেশ পকেট থেকে একটি দেশি পিস্তল বের করে সুষমাকে গুলি করে দেন এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সেই সময় পুনম ও বাচ্চারা অন্য আরেকটি ঘরে ছিলেন। গুলির আওয়াজে সকলে ছুটে আসেন। দেখেন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুষমা। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুনম আরও জানান, "আমি রমেশের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। আমার বোনকে খুন করার জন্য ওর যেন ফাঁসি হয়। ওর জন্য আমার বোন আর পৃথিবীতে নেই।" বাড়ি থেকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ ও গুলির শব্দ শুনে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই স্থানীয় থানায় খবর দেন। সুষমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সুষমা রাজ্য সরকারের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে "বিকাশ মিত্র" হিসেবে কাজ করতেন। আর রমেশ পাটনায় ট্রাক চালান। গয়ার এসএসপি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য একটি ফরেনসিক দল এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সুষমা এবং রমেশ ভিন্ন ধর্মের এবং ১৪ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।