সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'থ্রেট কালচারে' অভিযুক্ত থাকলেই সাসপেন্ড করে ক্লাস থেকে বিরত করা যাবে না। তা জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের ক্লাস করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত ডাক্তারি ক্লাস করতে পারবেন ৭ জন পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ইন্টার্ন এবং বাকিরা পিজিটি চিকিৎসক। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা ক্লাস করলেও এখনই হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। তবে ক্লাস করতে কোনও বাধার মুখে পড়লে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা।
গত সেপ্টেম্বরে এই সাত জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কলেজ কাউন্সিল অবশ্য অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে। জরুরি বৈঠকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সাত পড়ুয়া-সহ বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করে কাউন্সিল। হস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। কলেজ কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সওয়াল করেছিলেন যে র্যাগিংয়ে ঠিক কী অভিযোগ, তা জানানো হয়নি। একতরফাভাবে কীভাবে কলেজ কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান, আপাতত ক্লাস করতে পারবেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা। আর তা করতে গিয়ে কোনও বাধা পেলে স্থানীয় থানার সাহায্য নিতে পারবেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশে করতে পারবেন না। পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। উল্লেখ্য, এর আগে এই থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হলে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকেই। এবার বর্ধমান মেডিক্যালের অভিযুক্তদের সাসপেনশন স্থগিত করে হাই কোর্ট ক্লাসের অনুমতি দেওয়ায় তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।