সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর আবহে এবার এমবিবিসএস পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ফেরাতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরীক্ষায় ফিরছে সিসিটিভির নজরদারি। ফিরছে বারকোড পদ্ধতিও। বৃহস্পতিবার নয়া পদ্ধতি নিয়ে SOP চালু করা হল। তাতে রয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এত কড়াকড়ি বলে খবর সূত্রের। তাতে যোগ্যতাহীন পড়ুয়াদের স্রেফ টাকার বিনিময়ে চার বছরের ফাঁকি দিয়ে ডাক্তারি সার্টিফিকেট পাওয়া রোখা যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবায় হাল ফিরবে বলেও আশা।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে 'থ্রেট কালচার' নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল, এমন অনেক পড়ুয়া আচেন, যারা বছরের পর বছর পড়াশোনা না করেই পাশ করে যাচ্ছেন। স্রেফ টাকার বিনিময়ে উত্তরপত্রে কিছু না লিখতে পারলেও পাশ নম্বর পাচ্ছেন। ফলে বহু 'অযোগ্য' ডাক্তার তৈরি হচ্ছে। গত মাসে নবান্নে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে সেকথা বলেওছিলেন। অভিযোগ করছিলেন পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিয়ে। অভিযোগ, সুহৃতা পাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল থাকাকালীন সিসিটিভি নজরদারি-সহ একাধিক বিষয় এড়িয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এর পর তিনিই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের MBBS পরীক্ষায় স্বচ্ছতার ফেরানো নিয়ে কড়া বার্তা দেন। পরীক্ষায় যাতে বিন্দুমাত্র কারচুপি না হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপের কথাও বলেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার কড়া পদক্ষেপের কথা জানানো হল। একগুচ্ছ SOP নতুন করে তৈরি হয়েছে। পরীক্ষার সময় সিসিটিভি ছাড়াও মেডিক্যাল কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের নজরদারি থাকবে। উত্তরপত্রে নাম নয়, বারকোড থাকবে। পরীক্ষা হবে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে অর্থাৎ পর পর রোল নম্বর থাকা পড়ুয়ারা পাশাপাশি বসতে পারবে না। এমনই নানা নিয়ম মেনে হবে এমবিবিএস পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর মত, সারা বছর যারা কষ্ট করে পড়াশোনা করে, পরীক্ষায় তাঁরাই সফল হবে। ফাঁকি দেওয়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশ করানোর মতো কারচুপির ঘটনা ঘটবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় 'অস্বাস্থ্যকর' পরিবেশ শুদ্ধ করে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।