গোবিন্দ রায়: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। আগামী ১৭ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ জারির নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে গত ২৯ নভেম্বরের বিধানসভায় ধরনা কর্মসূচির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “যে ক্যামেরার ফুটেজ আমি দেখতে পাচ্ছি সেখানে শুধু শাসকদলের ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি। আর কারও জমায়েত দেখতে পাচ্ছি না। তাহলে বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন কী করে?” রাজ্যের সওয়াল, “ওটা অন্য ক্যামেরায় আছে।”
[আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা BJP নেতার! বাঁচাতে গিয়ে জখম মা]
বিচারপতি আরও বলেন, “যদি একটি ক্যামেরায় দুটি জমায়েত দেখাই না যায় তাহলে শোনার প্রশ্ন কী করে ওঠে? অভিযোগের স্বপক্ষে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ দেখা যাচ্ছে না।” খানিকটা বিস্ময়ের সুরে বিচারপতি আরও বলেন, “এই সব ফুটেজই তো কেস ডায়েরিতে থাকবে। জাতীয় সঙ্গীতকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা হয়েছে।” এদিনও এই মামলার জন্য আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে বলে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, “আজ, কাল কোনও মামলা শুনব না। খুন, ধর্ষণের থেকে এই মামলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
এর পর রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলে কি বিছানায় শুয়ে থাকা বয়স্ক লোক লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে? দেশকে সম্মান জানানোর জন্য জাতীয় সঙ্গীত? নাকি অপর পক্ষকে ফাঁসানোর জন্য? ৯০ শতাংশ শারীরিক সক্ষমতা হারানো জওয়ানের মাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে FIR করেনি পুলিশ, এখানে করেছে। ভালো।” সওয়াল জবাব শোনার পর আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল হাই কোর্ট।