shono
Advertisement
TET

বুধেই ৩২ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণ, প্রাথমিক নিয়োগ মামলার রায় ঘোষণা করবে হাই কোর্ট

প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 08:56 PM Dec 02, 2025Updated: 09:21 PM Dec 02, 2025

গোবিন্দ রায়: বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয় মামলা। নভেম্বরে শেষ হয়েছে শুনানি। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার রায় ঘোষণা করবে আদালত। কী নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট, সেদিকেই নজর সবমহলের।

Advertisement

২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় টেট উত্তীর্ণ হন প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। ২০১৬ সালে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে ৪২,৯৪৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই ৪২,৯৪৯-এর মধ্যে ৩২,০০০ প্রার্থী ‘অপ্রশিক্ষিত’। সঠিক পদ্ধতিতে ইন্টারভিউ এবং ‘অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট’ না নিয়েই চাকরি দেওয়া-সহ একাধিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। যে সব শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তাঁদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আনতে হবে। ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।

হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও কর্মরত শিক্ষকরা। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্রার্থীদের চাকরি বজায় রেখেই নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের হাই কোর্টে আসে। গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। টানা ছ’মাস ধরে শুনানি শেষে নভেম্বরের ১২ তারিখ রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। আগামিকাল রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয় মামলা।
  • নভেম্বরে শেষ হয়েছে শুনানি।
  • আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার রায় ঘোষণা করবে আদালত। কী নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট, সেদিকেই নজর সবমহলের।
Advertisement