সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝে বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নিষেধাজ্ঞাই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। যে কোনও বিজ্ঞাপনের লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
গত ৪, ৫, ১০ ও ১২ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজেপি যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, সেই জাতীয় কোনও বিজ্ঞাপন আর প্রকাশ করতে পারবে না বিজেপি। সেগুলি পরীক্ষিত নয় বা Unverified বলে উল্লেখ করে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বুধবার মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না তারা। তবে সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে নির্দেশ প্রত্যাহার অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন আর্জি করতে পারবে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ‘যত অত্যাচার করবেন, দলে ততই বাড়বে শুভেন্দুর গুরুত্ব’, পুলিশি হানা নিয়ে তৃণমূলকে শাহী চ্যালেঞ্জ]
ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যে কোনও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় আদর্শ আচরণবিধি মেনে পোস্টার, ব্যানার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে গেলে দেখবেন সেখান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকতে পারে।’’
উল্লেখ্য, বিজেপির (BJP) নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে তৃণমূলের তরফে উচ্চ আদালতে (Calcutta HC) মামলা জানানো হয়েছিল। বিজেপির যে দুই বিজ্ঞাপন নিয়ে তৃণমূল আপত্তি করেছে, তার একটিতে ‘দুর্নীতির মূল মানেই তৃণমূল’ এবং অন্যটিতে ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’ স্লোগান ছিল। এই দুটি বিষয়ই বিভ্রান্তিকর এবং অবমাননামূলক বলেই মনে করেছে তৃণমূল। সোমবারের সেই শুনানিতে বিজেপির তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপিকে মামলা সংক্রান্ত নথি দেওয়া হয়েছে, এই মর্মে কোনও তথ্য আদালতে জমা দিতে পারেননি তৃণমূলের তরফের (TMC) আইনজীবীরাও। তার পরও মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারপতি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই নিষেধাজ্ঞাই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।