সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একটি পালক জুড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) মুকুটে। মেধা এবং কাজের ভিত্তিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সেরার শিরোপা পেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিখ্যাত ‘সাংহাই ব়্যাঙ্কিং অফ ওয়ার্লড ইউনিভার্সিটিস ২০২০’-তে এই ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছে CU। আর ভোটের আবহেই এই খবরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যে টুইট করে প্রশংসা করার পাশাপাশি শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
গত বছর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে কলকাতা ছিল সপ্তম স্থানে। তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছিল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই পুরো চিত্রটাই বদলে গেল। সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ওই আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার প্রকাশিত ক্রমতালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়। আর জেএনইউ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, গত বছরের এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে দু’ধাপ এগিয়ে ধাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এই তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেই নেই।
তবে ‘সাংহাই ব়্যাঙ্কিং অফ ওয়ার্লড ইউনিভার্সিটিস ২০২০’-তে সমস্ত ভারতীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সেরার শিরোপা পেয়েছে IISc ব্যাঙ্গালোর। দ্বিতীয় স্থানে আছে IIT মাদ্রাজ। তৃতীয় স্থানটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে (বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৬০১-৭০০)। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং IIT দিল্লি। ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে IIT খড়্গপুর। আর সপ্তম স্থানে রয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এই সংস্থার বিচারে বিশ্বে সেরার স্বীকৃতি অবশ্য পেয়েছে হাভার্ড ইউনিভার্সিটি।
[আরও পড়ুন: পাছে লকডাউন হয়! ভোটের উত্তাপেই দুগ্গা চললেন সিডনি, পুজোর বাদ্যি কুমোরটুলিতে]
এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘বিখ্যাত সাংহাই ব়্যাঙ্কিংয়ে মেধা ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সমস্ত ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান দখল করেছে। আর দেশের সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এই খবর সমস্ত রাজ্যবাসীর কাছেই খুব গর্বের। এই সাফল্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, পড়ুয়া এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে অনেক অভিনন্দন।’