সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে কৃষকদের ঋণ মকুব করুক কেন্দ্র, এমনটাই দাবি তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি টুইটারে লেখেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে দেশ জুড়ে কৃষকদের ঋণ মুকুব করা উচিত।” তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের অবহেলা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের মনোভাব কৃষক-বিরোধী বলেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে তিনি লেখেন, “যখন কৃষকরা আন্দোলন করছে, কেন্দ্রীয় সরকার চুপ থাকতে পারে না। আজ কৃষকদের এই দুরাবস্থার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের হঠকারী নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত।” রাজ্যের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে না দিয়ে শাসক দলেরই উচিত নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করা, লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্র আগেই জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত রাজ্য কৃষিঋণ মকুব করছে, তাদের নিজের কোষাগার থেকেই তার দায় নিতে হবে। কেন্দ্র কোনও দায় নেবে না। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ–সহ নানা রাজ্যে কৃষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দিনকয়েক আগেই একথা স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। চাপের মুখে এর আগে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার কৃষিঋণ মকুব করেছে। একই পথে হেঁটেছে মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকারও। মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা সরকার তেমন ঘোষণা না করলেও কৃষকরা ঋণ মকুব-সহ একগুচ্ছ দাবিতে অনড়। মান্দসৌরে পুলিশের গুলিতে কৃষকদের মৃত্যুও হয়েছে।
কৃষক বিক্ষোভের সারিতে রয়েছে কংগ্রেসশাসিত পাঞ্জাব ও এআইএডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুও। কেন্দ্রের আশঙ্কা, তারাও ওই পথে হাঁটতে পারে। তারপর সেই অর্থ ছাড়ের জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবে। তাই আগেই সেই রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন অর্থমন্ত্রী। আর এতেই চটেছেন মমতা। অরুণ জেটলি অবশ্য একথা আগেও বলেছেন রাজ্যসভাতে। সেখানে তিনি বলেন, “বহু রাজ্যে কৃষিঋণ মকুবের দাবি উঠেছে। কেন্দ্রের এ বিষয়ে নীতি আছে। আমরা সুদে ছাড়, অন্যান্য সাহায্য দিই। সেগুলি চলবে। রাজ্যগুলি যদি আলাদাভাবে ছাড় দিতে চায়, অর্থের জোগাড় তাদেরই করতে হবে। কোনও রাজ্যকে কেন্দ্র সাহায্য করবে, কাউকে করবে না, এ ধরনের প্রশ্নই উঠবে না।” কিন্তু মমতা এবার দাবি তুললেন, দেশ জুড়ে কৃষকদের ঋণ মকুব করুক করতে এগিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রকেই। রাজ্যের ঘাড়ে বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপানো চলবে না।
The post দেশ জুড়ে কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবি মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.