ফারুখ আহমেদ, বিধাননগর: লিওনেল মেসির সফরকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Chaos in Yuba Bharati)। আর্জেন্টাইন মহাতারকা মাঠ ছাড়তেই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় ব্যানার। তারপর ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। এবার ভাঙচুরের অভিযোগে ২জনকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শুভ্রপ্রতিম দে ও গৌরব বসু। যুবভারতীতে তাণ্ডব (Chaos in Yuba Bharati) এবং ভাঙচুরের মামলায় তদন্ত চলাকালীনই এদের দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার মেসির সফরে ধুন্ধুমার হয়। তার দু'দিন পর ভাঙচুরের অভিযোগে প্রথম গ্রেপ্তারি হল। জানা গিয়েছে, সোমবার ধৃত দু'জনকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ। কয়েকঘন্টার মধ্যেই আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস এবং অভিজিৎ দাস।
এই গ্রেপ্তারির পাশাপাশি শতদ্রুর সংস্থার কর্তাদেরও তলব করা হয়েছে। কেবল শতদ্রুর সংস্থা নয়, শনিবার যুবভারতীতে যে বিভিন্ন সংস্থা দায়িত্বে ছিল, তলব করা হয়েছে সেই সংস্থার প্রতিনিধিদেরও। মোট ৬জনকে মঙ্গলবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। জল সরবরাহ, টিকিট বিতরণের মতো কাজের দায়িত্ব ছিল এই সংস্থাগুলির উপর। মেসির সফরের সময় তাঁদের কাজে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ওই ৬জন।
উল্লেখ্য, মেসিকে কলকাতায় আনার প্রধান কারিগর ছিলেন শতদ্রু দত্ত। যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার পরে শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়। অশান্তি, ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো সহ ভারতী ন্যায় সংহতির ১৯২, ৩২৪ (৪)(৫), ৩২৬ (৫), ১৩২, ১২১ (২), ৪৫, ৪৬ এবং নাশকতামূলক কার্যকালাপ ছড়ানোর ও জনগনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে শতদ্রুকে।
