সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় ট্রলারে ধাক্কা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজের! ঘটনার অভিঘাতে সঙ্গে সঙ্গে কাকদ্বীপের এফবি পারমিতা -১১ নামের ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে ডুবে যায় বলে খবর। ঘটনার সময় ওই ট্রলারে মোট ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। সবাই উত্তাল সমুদ্রে পড়ে ভাসতে থাকেন। সেই সময় পাশে থাকা আরেকটি ট্রলার ১১ জন মৎস্যজীবীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে বলে খবর। কিন্তু এখনও খোঁজ মিলছে না পাঁচ মৎস্যজীবীর। তাঁদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কারোর সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে চিন্তা।
জানা গিয়েছে, রবিবারই কাকদ্বীপ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরোয় এফ বি পারমিতা -১১ নামের ওই ট্রলারটি। ১৬ জন মৎস্যজীবী ওই ট্রলারে করে মাছ ধরতে বের হন। জানা যাচ্ছে, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় গভীর সমুদ্রে কুয়াশা এবং আধো অন্ধকার ছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ওই ট্রলারের মালিকের অন্য একটি ট্রলার আশেপাশেই ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেটি সাহায্যে এগিয়ে এসে সমুদ্রে ভাসতে থাকা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে।
এই প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ''উদ্ধার হওয়া ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধারকারী ওই ট্রলারটি নামখানা ঘাটে ফিরিয়ে আনছে।'' তবে এমন ঘটনা কেন ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজন মাইতি। অন্যদিকে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ''যতদূর খবর পাওয়া গিয়েছে কাকদ্বীপের ট্রলারটিতে চেপে ১৬ জন মৎস্যজীবী ভারতীয় জলসীমাতেই মাছ ধরছিলেন। সীমারেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে যে ট্রলারটি ঢুকে পড়েছে সেই খবর নেই।'' তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ নৌ বাহিনী কেন এমন ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে উদ্ধার হওয়া ১১ জন মৎস্যজীবী ফিরলেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলেও দাবি মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির। ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
