দীপঙ্কর মণ্ডল: আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগতদের ক্লাস হবে অনলাইনেই। অর্থাৎ সশরীরে তাঁদের ক্লাসে যেতে হবে না। মঙ্গলবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta)।
রাজ্যে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হারও। তাই সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা খুলে যাবে নতুন করে। তবে ১৫ তারিখ বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেদিন রাজ্যে ছুটি। তাই ১৬ নভেম্বর থেকে ফের অফলাইন ক্লাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্লাসরুমগুলিকে ফের পঠন-পাঠনের উপযোগী করে তোলার কাজও চলছে। চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। আর তারই মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জানাল, স্নাতকোত্তর প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস হবে অনলাইনেই (Online Class)। অর্থাৎ এখনই তাঁদের ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তৃতীয় সেমেস্টারের পড়ুয়াদের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। তৃতীয় সেমেস্টারের থিওরি ক্লাস হবে অফলাইন-অনলাইন মিশিয়ে।
[আরও পড়ুন: এখনই কাটছে না ভোগান্তি, পিছোল টালা ব্রিজ নতুন করে চালু হওয়ার দিন]
বড় বিভাগ অর্থাৎ যেসব বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্য়া বেশি, সেখানে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও ক্লাস হবে। আর ছাত্রছাত্রীর সংখ্য়া কম হলে প্রত্যেককেই কলেজে আসতে হবে। জমায়েত এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্ষেত্রেও নবাগতদের আপাতত ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানানো হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষ এবং স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অফলাইনে ক্লাস করবেন। কলা বিভাগের ক্ষেত্রে আবার স্নাতন এবং স্নাকত্তোরের একটি বর্ষের পড়ুয়াদের ক্লাস হবে অফলাইনে। কোন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা আসবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অবশ্য স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে আসবেন। পিএইচডি ও এমফিলের প্রত্যেককেই অফলাইনে ক্লাস করতে হবে। তবে সব বর্ষের পড়ুয়াদের জন্যই অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে।