সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর পেরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০১১ সাল থেকে অর্থাৎ গত ১৫ বছরে নানা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ কতটা এগিয়েছে রাজ্যে, তাতে রাজ্যবাসী কতটা উপকৃত হয়েছেন, সেই তথ্য-পরিসংখ্যান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'উন্নয়নের পাঁচালি'। হিসেবনিকেশ অনুযায়ী, গত ১৫ বছরের নিরিখে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪১ গুণ, কর আদায় ৫ গুণ হয়েছে। এছাড়া রাজ্যজুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর প্রকল্প হয়েছে, যা পরিসংখ্যানের নিরিখে অত্যন্ত ভালো বলেই মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''বাংলা এখন সারা দেশের মডেল।''
নবান্ন সভাঘরের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১১ সালের নিরিখে রাজ্যের কর আদায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যের কাজের খতিয়ান -
- কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ১০০ দিনের কাজ বা 'কর্মশ্রী'। এই মুহূর্তে সেই প্রকল্পে কর্মদিবস বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৭০ দিন। যা কেন্দ্রের তুলনায় বেশি।
- রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর সুবিধা পেয়েছেন ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা, যার জন্য খরচ হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
- দারিদ্রসীমার উপরে ১ কোটি ৭২ লক্ষ (২০১৩ থেকে ২০২৩)
- বেকারত্ব হ্রাস ৪০ লক্ষ
- স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধাপ্রাপ্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ পরিবার
- দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত ৭ কোটি ৪১ লক্ষ
- অর্থনৈতিক করিডরে কর্মসংস্থান ১ লক্ষ
- বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে ২০০০ সংস্থায় ২ লক্ষ কর্মসংস্থান
- আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্প তালুকের ২২০০০ কোটির বিনিয়োগ
- ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে ১ লক্ষ ৩০ লক্ষ
- কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি ৯.১৬ গুণ
- কন্যাশ্রীর সুবিধাভোগী ১ কোটির বেশি
- রূপশ্রীর সুবিধা পেয়েছেন ৫৫৯৮ কোটি
- দুয়ারে রেশন ৭ কোটি ৪১ লক্ষ
- পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ ৭০ হাজার কোটি
- 'বাংলার বাড়ি' তৈরির টার্গেট ১ লক্ষ
- ২৩ জেলায় শপিং মল, ৫১৪টি কর্মতীর্থ
- গঙ্গাসাগর সেতু তৈরির ব্যয় ১ হাজার ৭০০ কোটি
- পথশ্রীর টার্গেট ৭ হাজার কিলোমিটার রাস্তা (৫ হাজার কিলোমিটার সম্পূর্ণ)
