গৌতম ব্রহ্ম: কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতিগত শংসাপত্র পেতে হয়রানির অভিযোগ উঠছে মাঝেমধ্যেই। রাজ্যের শত চেষ্টার পরও কোথাও কোথাও আদিবাসীদের জমি জবরদখল করা হচ্ছে। এবার এই সমস্ত সমস্যার সমাধানে এবং আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্ন সভাঘরে আদিবাসী উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। আদিবাসী উন্নয়নে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জবরদখল থেকে জাতি শংসাপত্র নিয়ে ওঠা একাধিক অভিযোগের সমাধানে বুলুচিক বরাইক, সন্ধ্যারানী টুডু, জ্যোৎস্না মান্ডি এবং বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করে দেন মমতা। তাঁর কথায়, আদিবাসী ভাষাভাষীদের একত্রিত করতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। বিধায়কদের আদিবাসীদের ঘরে ঘরে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, "আদিবাসীদের জমি কেউ নিতে পারবে না। মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনও রং দেখা হবে না। সকলের জন্য কাজ হবে। ঝাড়খণ্ড-ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যের থেকে বাংলায় আদিবাসীরা অনেক ভালো আছে।"
আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রকেও নিশানা করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, আগের বৈঠকে যা কথা হয়েছে তার সিংহভাগ কাজ হয়েছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্র থেকে টাকা পয়সা আসছে না। টাকা পয়সা চেও না। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন নিয়ে যদি কিছু থাকে জানিও। বৈঠকে অনেকে অভিযোগ করেছেন আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মমতার সাফ নির্দেশ, "ট্রাইবাল ল্যান্ড তাঁদের বাইরে কেউ নিতে পারবে না।"