shono
Advertisement

‘১৪ মার্চ বাংলার ইতিহাসের কালো দিন’, নন্দীগ্রাম দিবসে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’মনে করালেন মমতা

নন্দীগ্রাম কাণ্ডের ১৬ বছর পর কৃষিতে প্রথম সারির রাজ্য হয়েছে বাংলা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 09:06 PM Mar 14, 2023Updated: 09:06 PM Mar 14, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রাম দিবসে জমি আন্দোলনের শহিদদের টুইটে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার ইতিহাসে কালো দিন ১৪ মার্চ। আমজনতাকে বাম জমানার ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে’র কথা স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করলেন, নন্দীগ্রাম আসলে বাংলার অদম্য লড়াকু মানসিকতার প্রতীক।

Advertisement

আসলে নন্দীগ্রাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয়ের খুব কাছের। ২০০৭ সালের মর্মান্তিক ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি তিনি। সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করে মমতার টুইট, ‘‘১৪ মার্চ বাংলার ইতিহাসের কালো দিন। নন্দীগ্রামের ঘটনা ছিল বাংলার অসহায় কৃষকদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ। সেদিন ১৪ জন শহিদ হন ও অগণিত গ্রামবাসী রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হিংসার শিকার হয়েছিলেন।’’

[আরও পড়ুন: চোখে চোখে কথা বলো…! ভারচুয়াল শুনানিতে প্রকাশ্যেই ‘প্রেমালাপ’ পার্থ-অর্পিতার]

মমতার দাবি, নন্দীগ্রামের (Nandigram) সেই ঘটনার ১৬ বছর পর বাংলা আজ কৃষিতে দেশের প্রথম সারির রাজ্য। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নন্দীগ্রাম দিবস বাংলার অদম্য লড়াকু মানসিকতার প্রতীক। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার জন্য অদম্য জেদের প্রতীক।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চের সেই মর্মান্তিক ঘটনার ১৪ বছর বাদে বাংলার কৃষকরা আজ সুরক্ষিত। তিনি বলেন,”আজ বাংলা কৃষিতে দেশের প্রথম সারির রাজ্য। এমন একটা রাজ্য যেখানে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়। রাজ্যের কৃষকদের সসম্মানে বাঁচার অধিকার দিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘আমি তো সিপিএম ক্যাডারদের চাকরি খাইনি…’ নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার মুখে ফের ‘বাম আমল’]

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবছর ১৪ মার্চের শহিদ দিবস পালন ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির দ্বৈরথ চরমে পৌঁছেছিল। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ নিয়ে শর্তসাপেক্ষে এদিন সকাল আটটায় নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ বেদীতে কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপি নেতা ও স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ”সিপিএমকে সাফ করেছি। চব্বিশের নন্দীগ্রাম দিবসের আগে পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে স্বভাবতই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথেই তার জবাব দিয়ে গেলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। পালটা তাঁর জবাব, ”যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা নিজেরা কবে গ্যারেজড হয়ে যাবেন, জানেন না। আর শহিদ দিবসে ‘গ্যারেজ’ করে দেওয়ার কথা যাঁরা বলতে পারে, তাঁরা শহিদদের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা বোঝাই যাচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement