সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। এবছর এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি কোনও ভারতীয়। কিন্তু এই প্রভাবশালীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা কর্তা এলন মাস্কের সঙ্গেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
গত বছর টাইমের ১০০ প্রভাবশালীদের মধ্যে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট, অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। কিন্তু এবছর আর কোনও ভারতীয়র নাম উঠে আসেনি তালিকায়। প্রত্যেকবারের মতো এবারেও 'লিডার', 'আইকন', 'টাইটানস' এই তিন তালিকায় প্রভাবশালীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বনেতাদের লিস্টে প্রথমেই রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। গত বছরের নির্বাচনে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টিকে ধরাশয়ীকে করে জয়লাভ করে তাঁর দল লেবার পার্টি। রাজার দেশের কুরসি দখল করেন স্টার্মার।
এরপরই রয়েছেন ট্রাম্প। গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। গত বছর টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের শিরোপা পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ধনকুবের মাস্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের গভীর বন্ধুত্ব অনেকদিনের। রিপাবলিকান নেতার নির্বাচনী প্রচারেও জনতার সামনে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে এক্সের মালিককে। ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর পারিবারিক ছবিতেও দেখা গিয়েছে মাস্ককে। এখন ঠিক যেন ছায়াসঙ্গীর মতোই ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সরকারের ‘অপব্যয়’ কমাতে ‘ডিপার্মেন্ট অফ গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি নতুন দপ্তর খুলেছেন ট্রাম্প। যার মাথায় বসিয়েছেন টেসলা কর্তা মাস্ককে।
ট্রাম্প আর মাস্কের পাশেই নাম রয়েছে ইউনুসের। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার 'গণ অভ্যুত্থানে' প্রধানমন্ত্রীর গদি হারান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনুসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ৮৪ বছর বয়সি ইউনুস এই তালিকায় উঠে আসে সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। এছাড়াও এবছর তালিকায় রয়েছেন বাসার আল আসাদ। বিদ্রোহীদের কাছে হার মেতে গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের গদি হারান। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম, মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস, জার্মানির রক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা লি জে-মিয়ং।
