সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানীয় জল গ্রামের সর্বত্র পৌঁছে দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা অন্য। কল আছে, পাইপ আছে কিন্তু জল নেই। কাদের জন্য এই পরিস্থিতি? আমজনতার এই ভোগান্তির জন্য কেন্দ্র ও ডিভিসিকে দায়ী করলেন মমতা। তবে প্রশাসনের অন্দরেও যে কিছু গাফিলতি রয়েছে তা মেনে নিয়েই অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তিনি।
সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ একাধিক সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা। সেখানেই কোন অঞ্চলের জল সরাবরাহ পরিষেবায় কী সমস্যা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "ডিভিসির জন্য ২০ লক্ষ মানুষ জল পাচ্ছে না।" এমনকী, জলজীবন প্রকল্পেও কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে দাবি করেন। বলেন, "ভোটের সময় বলে কেন্দ্র বলে ঘরে ঘরে জল দিচ্ছে। আসলে এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১০ শতাংশ দেয় আর রাজ্য দেয় ৯০ শতাংশ টাকা।"
তবে শুধু কেন্দ্র নয়, প্রশাসনের অন্দরেও কিছু 'জল' রয়েছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, "সয়েল টেস্ট না করেই টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।" মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, কোনওরকম গাফিলতির খবর পেলেই "যথাযথ অ্যাকশন নেব।"
গ্রামের বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী যে কতটা তৎপর, তা বোঝাতে বারবার ‘জল জীবন মিশন’নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরেছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট আসে বাড়ি বাড়ি অনেকাংশেই পাইপলাইন বসে গেলেও পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, এখনও সব জায়গার মানুষ তা পায়নি। অবিলম্বে তার জন্য দায়ী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।