অর্ণব আইচ: ১২ বছর ধরে চুক্তিবদ্ধ থাকার পরও চাকরির স্থায়ীকরণ হয়নি। পারিশ্রমিক নামমাত্র। এক দশক ধরে সেটাও বাড়ছে না। মিলছে না সুযোগসুবিধাও। মহাসংকটে রাজ্যের সিবিআই আদালতের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। শেষপর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, কেন স্থায়ী করা হচ্ছে না? সেই প্রশ্ন তুলে ‘পেন ডাউন’ শুরু করেছেন সিবিআই আদালতের চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীরা। এক দশকের উপর বেতন ও সুযোগসুবিধাও কিছু বাড়ানো হয়নি বলে দাবি প্রতিবাদী কর্মচারীদের। তারা আরও জানান প্রতি বছর কেন্দ্র সরকার সিবিআই কোর্টের জন্য টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু তাঁদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak), মুখ্যসচিব, হাই কোর্টে জানানোর পরও সমস্যার সুরহা হয়নি বলে দাবি চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: ‘হিরো’ সাজা বাইকচালকদের সতর্কবার্তা, রোহিতের বার্তা হাতিয়ার রাজ্য পুলিশের]
রাজ্যে মোট ৭টি আদালত সক্রিয় রয়েছে। যার মধ্যে ৬টিতে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কশালে ৩টি আদালত, আলিপুর, আসানসোল, শিলিগুড়িতে ‘পেন ডাউন’ শুরু হয়েছে। এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। বেতন ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ সিবিআই আদালতে শূন্যপদের তুলনায় কম কর্মীতে কাজ হচ্ছে। সেগুলিও পূরণ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: কোর্টের স্থগিতাদেশের পরদিনই সন্দেশখালিতে অশান্তি! নিজের অবস্থানে অনড় অভিষেক]
অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ায় রাজ্যের সিবিআই (CBI), এনআইএ-র হাতে থাকা একাধিক মামলার শুনানির কাজে অসুবিধা হবে। বুধবার আলিপুরে সিবিআইয়ের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা রয়েছে। সেই মামলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে রাজ্যের সিবিআই আদালতগুলিতে। সেসবও অথৈ জলে।