shono
Advertisement
Tanmoy Bhattacharya

দলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের পর শ্লীলতাহানি ইস্যুতে হাই কোর্টে আগাম জামিন, স্বস্তিতে তন্ময়

বেশ কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর বেঞ্চ।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 12:16 PM Dec 17, 2024Updated: 12:59 PM Dec 17, 2024

গোবিন্দ রায়: সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগেই সাসপেনশন তুলে নিয়েছিল দল। এবার কলকাতা হাই কোর্টেও আগাম জামিন মিলল। ফলে এই ইস্যুতে আপাতত স্বস্তি সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যর (Tanmoy Bhattacharya)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর বেঞ্চ তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে খবর। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সেসব মেনে চলতে হবে।

Advertisement

গত অক্টোবরে নিজের বাড়িতে সাক্ষাৎকারের সময় এক তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল বরানগরের সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করে অভিযোগ তুলেছিলেন। পাশাপাশি বরানগর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ৪৮২ (২) ধারায় মামলা রুজু হয়। অভিযোগ ওঠামাত্র সিপিএম সাসপেন্ড করে তন্ময় ভট্টাচার্যকে। তবে আভ্যন্তরীণ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিজনক কোনও প্রমাণ না মেলায় গত সপ্তাহে সেই সাসপেনশন তুলেও নেওয়া হয়।

বরানগর থানায় তরুণী সাংবাদিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য। তার ভিত্তিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেছেন। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে তা মিলেছে। তবে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, অভিযোগকারিনীর সঙ্গে তন্ময়বাবু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তদন্তে নিয়মিত সহযোগিতা করতে হবে এবং মাসে একবার করে থানায় হাজিরা দিতে হবে। যদিও দল থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার বা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন মঞ্জুর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মিলল আগাম জামিন, স্বস্তিতে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য।
  • বেশ কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
Advertisement