স্টাফ রিপোর্টার: শনিবারের সাঁঝবেলায় ভিড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বইকে জড়িয়ে এই স্টল থেকে অন্য স্টলে এগোচ্ছিল এক কিশোর। হাত থেকে একটা প্যাকেট পড়ে যেতেই বসে পড়ল সে। পিছন থেকে এক মাঝবয়সি মহিলা কুড়িয়ে দিলেন সেই বই। তবে যত সন্ধ্যা বেড়েছে ততই বেড়েছে ভিড়। বইমেলা প্রাঙ্গণে বইমেলার (Kolkata Book Fair 2022) ভিড় রবিবার যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দিনের বেলায় একটু রোদ সামলে চলতে চেয়েছেন অনেকেই। সূর্যের গনগনে আলো কমতেই তাঁরাই কার্যত ঝাঁপ দিয়েছেন মাঠের আনাচে কানাচে। ভিড়ে কার্যত হাঁটাই দায়। উল্লেখযোগ্যভাবে লিটল ম্যাগাজিনের স্টলেও বহু মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে। তার সঙ্গেই অনেকে ভিড় জমিয়েছেন ফুড স্টলে। মুক্ত মঞ্চে চলেছে কবিতা পাঠের আসর। সঙ্গে গানও।
[আরও পড়ুন: ‘এই দুরবস্থার দায় কেন্দ্রেরই’, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন ইউক্রেন ফেরত বাঙালিরা]
এদিনও একের পর এক বই প্রকাশ হয়েছে। প্রাক্তন পদস্থ আমলা বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য জহর সরকারের বই ঘিরে উৎসাহ ছিল। এসবিআই অডিটোরিয়ামে দেজ পাবলিশিংয়ের ‘তেরো পার্বণের ইতিকথা’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন মনোজ মিত্র, প্রচেত গুপ্ত ছাড়াও সংস্থার কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে, শুভঙ্কর দে এবং কে কে বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ ভট্টাচার্য, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। জহরবাবুর বইয়ে রয়েছে সারা দেশের আচার ও পার্বণের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আরও বই প্রকাশিত হয়েছে প্রেস কর্নার ও অডিটোরিয়ামে।
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শুরু হয় ৪৫ তম কলকাতা বইমেলা। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। এবার মোট ৬০০টি স্টল রয়েছে। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য মোট ৯টি তোরণ রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গেটও রয়েছে। ২টি সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। একটি বিশ্ববাংলা গেটও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: অমৃতসরে BSF মেসের ভিতরে এলোপাথাড়ি গুলি কনস্টেবলের, মৃত ৫]
করোনা প্রকোপে বন্ধ ছিল গতবারের মেলা। এবারও নির্ধারিত সময়ে করা যায়নি বাঙালির প্রাণের এই উৎসব। স্বভাবতই দু’বছরেরও বেশি সময় পড়ে হওয়া বইমেলাকে ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই। শনিবার বিকেলের পরে বহু স্টলেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্বাভাবিক ভাবেই রবিবার ছুটির দিনে সেই ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশা।
