সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে সিপিএমের? তাই কি সিপিএম পার্টির মুখপত্রে তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে একই বন্ধনীতে ফেলা হল কংগ্রেসকে? রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিএমের আক্রমণ স্বাভাবিক। কিন্তু শনিবার পার্টির মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকার দ্বিতীয় পাতায় ‘প্রকাশ্য সমাবেশে স্মরণ ৫২ শহিদ’-কে শীর্ষক খবরে তৃণমূল ও বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসি গুন্ডাদের কথা লেখা হয়েছে।
লেখা হয়েছে, '১৯৫৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লড়াই সংগ্রামে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির গুন্ডাদের হাতে যে সব কমরেড শহিদদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তাঁদের পরিবারের অনেকেই এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন।' ২০১৬ থেকে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে সিপিএম তথা বাম। যদিও নির্বাচনী যুদ্ধে সিপিএম ও কংগ্রেসের ভোট তলানিতে। অধীর চৌধুরি প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন সিপিএম-কং জোট চলছিল। গত ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হয়নি সিপিএমের। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রদেশ সভাপতির পদে এখন শুভঙ্কর সরকার। উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় দূরত্ব নিয়ে জল্পনা রয়েছেই। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন নিয়ে পার্টির মুখপত্রের খবরে তৃণমূল, বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসকেও এক বন্ধনীতে ফেলা হল।
বাম-কংগ্রেস জোট রাজ্যে ভোট লড়লেও তেমন সাফল্য পায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও দুই দলের নেতৃত্ব যথেষ্ট আশা করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশে দেখা যায় জোট এবারেও মুখ থুবড়ে পড়েছে। কেবল মালদহ থেকে একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। বহরমপুর কেন্দ্রে হেরে যান খোদ অধীর চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেও দুই দলের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। দুই দলই ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল আগামীর রাজনৈতিক সম্পর্কে। সেই আবহে এবার কংগ্রেসিদের সম্পর্কে ওই শব্দ ব্যবহার করা হল।