বিধান নস্কর, দমদম: মদ খাওয়ার টাকা না পেয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল দুই যুবককে। সেই ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার চার অভিযুক্ত। এখনও অধরা বেশ কয়েকজন। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
অভিযোগ, শনিবার মধ্যরাতে দমদম মধুগড়ে দুই যুবক শ্রীতম চট্টোপাধ্যায় ও সানি সিং অফিস করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময়ই তাঁদের রাস্তা আটকান অভিযুক্তরা। মদ খাওয়ার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল দুজনকে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রবীর পালের গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করে বলে অভিযোগ ওঠে। রিভলবারের বাট, রড, হকিস্টিক, ইঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় দুজনের। হামলার চোটে শ্রীতম চট্টোপাধ্যায়ের চোখ প্রায় নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্তরা। নাগেরবাজার থানার পুলিশও দ্রুত ওই ঘটনার তদন্তে নামে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। খানাতল্লাশির দুদিনের মধ্যেই সৌরভ রায় সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করল নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে নাগেরবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্রীতম। পরে তাঁকে ইএম বাইপাসের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। তাঁর আঘাত যথেষ্ঠ গুরুতর বলেই জানা গিয়েছে। প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রবীর পালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তন্দ্রা সরকারও ঘটনায় যথেষ্ঠ সরব হয়েছিলেন। এলাকায় সমাজবিরোধী দৌরাত্ম্যের কথাও স্বীকার করেন তিনি। প্রাক্তন কাউন্সিলরের মদতে এই দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সেই অভিযোগও তোলেন তিনি।