গোবিন্দ রায়: তাঁর বদলির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। পূর্ব বর্ধমানের উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) পদে ছিলেন। সম্প্রতি সেখান থেকে তাঁকে বদলি করা হয় দার্জিলিংয়ের টিবি হাসপাতালের সুপার হিসেবে। পূর্ব বর্ধমানে সুর্বণ গোস্বামীর জায়গায় অস্থায়ীভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই জেলারই উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৪) পদে থাকা ডাঃ সুনেত্রা মজুমদারকে। এই নির্দেশিকা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়। কারণ আর জি কর কাণ্ডের পর ডাক্তার-আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। এবার এই বদলির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ সুবর্ণ গোস্বামী।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ডাক্তার সুবর্ণ। তিনি নাকি এও দাবি করেছিলেন, নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ থেকে দেড়শো গ্রাম বীর্য উদ্ধার হয়েছিল। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। রাজ্য পুলিশ বা সিবিআই তদন্তেও চিকিৎসকের সেই দাবি প্রমাণ হয়নি। এমনকি আদালতেও তাঁর দাবি খারিজ হয়ে যায়। তারপরেও অবশ্য ‘বাম-অতি বাম সমর্থিত’ অভয়া আন্দোলনের নামে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান থেকে দার্জিলিংয়ে বদলি করা হয় সুবর্ণ গোস্বামীকে।
বদলির নোটিস পাওয়ার পরই ডা. সুবর্ণ গোস্বামী বলেছিলেন, “এটা আমার অষ্টমতম বদলি। তাই, এসব নিয়ে অসুবিধা হয় না। বর্ধমান বা দার্জিলিং, যেখানেই থাকি অন্যায়ের প্রতিবাদ হবেই। ” চিকিৎসকের অভিযোগ ছিল, “১০-১৫ বছর ধরে অনেকেই একই পদে রয়েছেন, সরকারের কাছের লোক বলে! তাই, আমার বদলির উদ্দেশ্য কী বোঝা যায়। অভয়ার ন্যায়বিচারের লড়াই চলবেই।” যদিও স্বাস্থ্যদপ্তরের সাফ দাবি, এটা রুটিন বদলি। যে সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে, তা অমূলক। এবার এই বদলির প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক।