সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবারই খুঁটিপুজো দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ে দুর্গাপুজোর। এবারও হচ্ছে না তার ব্যতিক্রম। কিন্তু গতবছর থেকে অনেকটাই বদলে গিয়েছে পরিবেশ-পরিস্থিতি। ফিকে হয়েছে উৎসবের রং। ভাইরাসের মোটা আস্তরণে মলিন আনন্দ-উচ্ছ্বাসও। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনে মা তো আসবেনই। তাঁকে সমবেতভাবে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতও হতে হবে। তাই প্রথা মেনেই ক্লাবে ক্লাবে শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটিপুজোর আয়োজন। কিন্তু অতিমারীতে পালটে গিয়েছে সে পুজোর চেহারা। শুধু দেবী নয়, এ পরিস্থিতিতে যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোও বড্ড জরুরি। আর সে কথা মাথায় রেখেই অভিনব উদ্যোগ নিল দমদম তরুণ দল (Dum Dum Tarun Dal)। জীবে প্রেম করেই ঈশ্বরের সেবায় অঙ্গিকারবদ্ধ তারা।
মহামারীতে অসুস্থ গোটা বিশ্ব। করোনার গ্রাসে বিধ্বস্ত মানুষ। বছর ঘুরে গেলেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। প্রিয়জনকে হারানোর শোক নিয়েই কাটছে জীবন। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবিলার একমাত্র পথ টিকাকরণ। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের রাস্তা প্রশস্ত করতে তাই ভ্যাকসিনেশনেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এই কঠিন লড়াইয়ে জিততে পারলেই তো সেই চেনা ছন্দে ফিরবে উৎসব, দ্বিগুণ হবে দুর্গাপুজোর আনন্দ। এই লক্ষ্যেই বিনামূল্যে টিকাকরণের (Corona Vaccination) ব্যবস্থা করল পূর্ব কলকাতার বিখ্যাত পুজো কমিটিটি। মঙ্গলবার মোট ২৫০ জনকে দেওয়া হল করোনার ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: Upper Primary: ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চললেও এখনই শিক্ষক নিয়োগ নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের]
মণ্ডপ তৈরির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক, ইলেক্ট্রিশিয়ান, কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী, ঢাকি, স্থানীয় দোকানি, রিকশাওয়ালা-সহ মোট আড়াইশো জনকে এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হল। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ প্রসাদ বলছিলেন, “একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে উঠতেই এই প্রয়াস আমাদের। একদিকে যেমন প্রথা মেনে হল খুঁটিপুজো, তেমনই চিকিৎসাকর্মীরা এসে পূজাপ্রাঙ্গনেই সকলকে ভ্যাকসিন দিলেন। সবাইকে নিয়ে নিরাপদে পুজো আয়োজন করতে চাই আমরা।”
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও নানা বিপর্যয়ে সাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। কখনও ছুটে গিয়েছেন আমফান (Cyclone Amphan) বিধ্বস্ত সুন্দরবনে তো কখনও অন্য ক্লাবের দুর্গাপুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন। এবারও খুঁটিপুজোয় চমক দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তাঁরা। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অন্যদের সামনে।