সুদীপ রায়চৌধুরী: বিধানসভা ভোটের আগেই উপনির্বাচনের দামামা বাজতে পারে বাংলায়। বিধায়কের মৃত্যুতে নদিয়ার কালীগঞ্জ আসনটি ফাঁকা। সেখানে উপনির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল। মে মাসের মধ্যে ওই কেন্দ্রের ভোটার তালিকা সংশোধন করা হবে। গোটা দেশের ক্ষেত্রে যা হবে আরও পড়ে।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ফাঁকা পড়ে আসনটি। নিয়ম অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই আসনে উপনির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু গোটা রাজ্যেই 'ভূতুড়ে' ভোটার খোঁজার পালা চলছে। ঝাড়াই-বাছাইয়ের পর সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। যা সময়সাধ্য় বিষয়। কিন্তু কালীগঞ্জ বিধানসভার জন্য ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
জানানো হয়েছে, কালীগঞ্জের জন্য স্পেশ্যাল সামারি রিভিশন করা হবে। জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, ৮ এপ্রিলের মধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৫ মে-র মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। তারপরই ঘোষিত হবে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ।
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। লোকসভার পর এই ৩ রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। এরাজ্যেও একই রকম পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ নিয়ে সংসদে লাগাতার আলোচনার দাবি করে চলেছে তৃণমূল।