অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির বিশেষ আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। জেরায় ইডির কাছে সেকথা অর্পিতাই জানিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বৃহস্পতিবার চার্জ গঠনের সময় ইডির আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন পার্থ। তাই তিনিই মাস্টারমাইন্ড। তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' হিসাবে দ্বিতীয় অভিযুক্ত ছিলেন পার্থ। তবে অর্পিতা বারবার জেরায় দাবি করেছেন, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার পুরোটাই পার্থর। ভুয়ো সংস্থা খুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলেই দাবি তাঁর। অর্পিতার নামে পার্থ অ্যাকাউন্ট খুলতেন বলেই জানিয়েছে ইডি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই একইদিনে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে লাগাতার তল্লাশি চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে সোনার গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রা-সহ নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে। তার ঠিক দিনপাঁচেক পর ফের বেলঘরিয়ার অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
সেখান থেকেও বিপুল টাকা উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। এছাড়া ৫ কোটিরও বেশি মূল্যে গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নামে, বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফ্ল্যাটকে ‘মিনি ব্য়াঙ্ক’ হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন বলে বারবারই দাবি করেন অর্পিতা। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।