স্টাফ রিপোর্টার: ভিনরাজ্য থেকে অশান্তি পাকাতে বহিরাগতরা বাংলায় এসে প্ররোচনা দিতে পারে। রামনবমীর দিন এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে মুষ্টিমেয় দু-একজন গোলমালের চেষ্টা করেন। তাদের চিহ্নিত করতে পারলেই চিন্তা থাকে না।" রামনবমীর দিন প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি রাত জাগেন বলেও এদিন জানান ফিরহাদ। উল্লেখ্য, রামনবমীর দিন অস্ত্র হাতে মিছিলের ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

রামনবমীকে সামনে রেখে ভোটের আগে বিজেপি হিন্দুত্বের হাওয়া তোলার চেষ্টা করবে। সেই মতোই তারা পরিকল্পনা নিয়েছে। আরএসএসের তরফেও বিজেপিকে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই রাজ্যজুড়ে বেনজির শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, "রামনবমীতে কিছুই হবে না। আমরা বাংলার মানুষ রামকৃষ্ণের যত মত তত পথে বিশ্বাসী। বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলে না।" ফিরহাদের কথায়, "অমিত শাহরা বাংলায় পদ্মফুল ফোটার আশা করেন। যতদিন ধর্মীয় রাজনীতি করবে তারা বাংলায় কোনওদিন আসবে না।"
এদিকে, অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিল ইস্যুতে প্রশাসনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পিছু হঠল আরএসএস। সঙ্ঘের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নটি যেহেতু পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, ফলে এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য। বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পূর্ব ক্ষেত্রের সহ প্রচার প্রমুখ ড. জিষ্ণু বসু বলেন, "দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রীতিতে ধর্মাচরণ করা হয়। এটা পরম্পরা। এখন এরাজ্যে পুলিশ প্রশাসন যদি মনে করে যে রামনবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করা যাবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।" বিজেপি নেতারা অবশ্য রামনবমী নিয়ে চড়া সুরেই রয়েছেন। রামনবমীতে দলীয় কর্মীদের প্রস্তুত হয়ে বেরোনোর কথা বলে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। এদিকে, রামনবমী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার শুক্রবার বলেছেন, "পরিস্থিতি যা তাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন হওয়া উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।"