সুব্রত বিশ্বাস: করোনা (Corona) আবহে এখনও আমজনতার জন্য চালু হয়নি লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া সাবওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা মাত্রই হকারদের দখলে সাবওয়ে চলে যাওয়ায় কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করল রেল।
[আরও পড়ুন: Durga Puja: স্যানিটাইজার মাখিয়ে কুমোরটুলি থেকে মার্কিন মুলুকে গেল ‘সবথেকে বড়’ দুর্গা]
শনিবার রাজ্যে জয়েন্ট এনট্রান্স পরীক্ষা ছিল। ওই দিন হাওড়া মিউনিসিপ্যালিটি সাবওয়েটি খুলে দেওয়া হয় ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য। কিন্তু তা আর বন্ধ না করায় আগের মতোই হকাররা বসে পড়ে সাবওয়ের মধ্যে। হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সাবওয়েটি একদিনের জন্য খোলার অনুরোধ করা হয়েছিল হাওড়া কর্পোরেশনকে। খোলার পর আর সেটি বন্ধ করা হয়নি। রেলের আওতায় না হওয়ায় সাবওয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত রেল নিতে পারে না। কোভিড বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেজন্য মহামারীর প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সাবওয়েটি বন্ধ করা হয়েছিল। যাত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাবওয়েটি বন্ধের দরকার বলে মনে করেছে রেল। সাধারণ মানুষের জন্য লোকাল ট্রেন চলছে না। তাই যাতায়াতের আলাদা দু’টি পথ ছাড়া অন্য সব পথ বন্ধ রাখে রেল।
বলে রাখা ভাল, হাওড়া স্টেশন থেকে বাস স্ট্যান্ডে যেতে সাবওয়ে ব্যবহার করা হয়। ফলে করোনার সময় সেটি বন্ধ রাখা জরুরি হয়ে পড়েছিল। সিদ্ধান্ত ছিল সবার জন্য লোকাল ট্রেন চললে তখনই তা খোলা হবে। কিন্তু অফলাইনে জয়েন্ট পরীক্ষা হয় গত শনিবার। ফলে হাওড়ায় পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি চোদ্দো জোড়া ট্রেন চলানো হয় সেদিন। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য সাবওয়েটি একদিনের জন্য খুলতে অনুরোধ করে রেল। কিন্তু তা আর বন্ধ না হওয়ায় হকার ভরে যায় তাতে। যাত্রী চলাচল অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। হাওড়া পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন বলেন, “ট্রাফিক পুলিশ, সিটি পুলিশ ও রেলের সঙ্গে মিলিত কমিটি সাবওয়েটি দেখে। ফলে সেই কমিটিকে বিষয়টি জানানো হবে। কোভিড বিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেজন্য সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হবে।”