সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া, শিয়ালদহ দিয়ে চলাচলকারী ৪৭টি ট্রেনে বন্ধ হচ্ছে হকারি। ট্রেনগুলিতে হকাররা যে সরঞ্জাম বিক্রি করেন, সেসব পাওয়া যাবে ভেন্ডারদের থেকে। এ জন্য নয়ডার একটি সংস্থাকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
এবার থেকে আইসক্রিম থেকে বাদাম, সিঙাড়া থেকে চা ও অন্য সব সামগ্রী বিক্রি করবেন ভোন্ডাররাই। ফলে বহু বছর ধরে যে হাজার হাজার হকার ট্রেনের উপর নির্ভর করে রুজিরুটি চালাচ্ছিলেন, তাঁরা এখন কার্যত বেকার হয়ে পড়বেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তকে ‘ভয়াবহ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই কর্পোরেটাইজেশনের ফলে গরিব মানুষগুলো বেকার হয়ে পড়বেন। রুটিরুজির বিকল্প পথ পাবেন না।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলনে নামা হবে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আশ্বাসে তিনদিন পর উঠল কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ, প্রশ্নের মুখ ব্রিজভূষণের ভবিষ্যৎ]
ট্রেনগুলিতে হকারদের বিক্রিত পণ্য বিক্রির জন্য নয়ডার একটি সংস্থা চুক্তিবদ্ধ হয় আইআরসিটির (IRCTC) সঙ্গে। কিন্তু এরপরই মিথিলা এক্সপ্রেসে ভেন্ডিং করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন ওই সংস্থার কর্মীরা। টিকিট পরীক্ষক থেকে জিআরপিকে অভিযোগ করেও সুফল পায়নি বলে সংস্থাটি অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে আরপিএফ। পূর্ব রেলের আরপিএফ তাদের প্রতিটি ডিভিশনে রীতিমতো লিখিতভাবে জানিয়েছে, নির্ধারিত ট্রেনগুলিতে বেআইনিভাবে চড়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি লাইসেন্সিং সংস্থার কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।
পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব জানান, বেআইনিভাবে মানুষজনকে ট্রেনে কোনওরকম সামগ্রী বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ট্রেনে উঠলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আইএনটিটিইউসির পূর্ব রেলের চত্বরের হকারদের সাধারণ সম্পাদক বাপি ঘোষ বলেন, এই রেলের আওতায় লক্ষাধিক হকার রয়েছেন। তাঁদের ভাত মারার প্রকল্প কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। অসংরক্ষিত কামরায় হকারি চলবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।