অর্ণব আইচ: ক্রিকেট বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) টিকিটের কালোবাজারিতে আরও ধরপাকড়। এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কালোবাজারি সম্পর্কে জানতে শনিবার সিএবি কর্তা নরেশ ওঝাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ময়দান থানার আধিকারিকরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিএবি-র এক আধিকারিক বিশ্বপতি সেন।
এদিনই লালবাজারে এসে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন সিএবির (CAB) সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর সোয়া বারোটায় তিনি লালবাজারে আসেন। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তিনি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। রবিবার ভারত ও দক্ষিণ ভারতের বিশ্বকাপ খেলার অনেক আগে থেকেই কীভাবে টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে, সেই তথ্য জানতে এদিন টিকিট বুকিং অ্যাপের এক কর্তা উজ্জ্বল হালদারকে পুলিশ তলব করে। তিনি মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে ময়দান থানায় হাজিরা দেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তের খাতিরে বিসিসিআই-এর কয়েকজন কর্তাকেও তলব করা হতে পারে বলে জানিয়েছে লালবাজারের সূত্র।
[আরও পড়ুন: টিকিটের হাহাকারের মধ্যেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দেখাতে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যপালের]
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে এদিন পর্যন্ত ন’টি মামলায় ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ১০৮টি টিকিট উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে যে, প্রায় ৬৪ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছে। টিকিট বুকিং অ্যাপ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭৫টি টিকিট। সেগুলি অনলাইনে বিক্রির সময় কালোবাজারি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ১৬৮টি। সিএবি ও বিসিসিআইয়ের হাতে গিয়েছে ২৫ হাজার ৯৭৫টি টিকিট। সেটি রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে বন্টন করা হয়েছে। ক্লাবগুলির মাধ্যমে সেই টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সিএবির দাবি, তাঁদের ১১ হাজার সদস্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার জনকে অগ্রাধিকারে অনলাইনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকিরা টিকিট পাননি। পুলিশ জেনেছে, মুম্বই থেকে শুরু করে ভিনরাজ্য থেকে অনেকেই বুকিং অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করে রেখেছে। তাঁদের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে কিউআর কোড ও আইডি নম্বর কিনে নিচ্ছে টিকিট ব্ল্যাকাররা। সেই কোড ও নম্বর ব্যবহার করে তাঁরা কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে প্রায় দশগুণ দামে বিক্রি করছে কলকাতায় বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপ শুরুর আগে টিকিটের কিউআর কোড পরীক্ষা করা হবে। তাতেই জাল টিকিট ছাপানো হয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে তথ্য মিলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।