রমেন দাস: অবসরের চারদিন আগে অপসারিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। রাজভবনের তরফে ইতিমধ্যেই এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে উপাচার্যকে। ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে গত প্রায় একমাস থেকে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। বারবার উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মাঝে উপাচার্যকে অপসারণের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন, অশান্তির জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত নিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস?

২০২৪ সালের এপ্রিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ভাস্কর গুপ্ত। নথি অনুযায়ী চলতি মাসের ৩১ তারিখ অবসর গ্রহণ করার কথা তাঁর। তবে তার আগেই, ২৭ মার্চ অর্থাৎ গতকাল রাজভবনের তরফে উপাচার্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভাস্কর গুপ্তের নিয়োগ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয় চিঠিতে। তবে কেন এই নির্দেশ, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই চিঠিতে। অর্থাৎ চারদিন আগেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। আচমকা এই অপসারণ স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, যাদবপুরের অশান্তির জেরেই এই পদক্ষেপ।
রাজভবনের তরফে উপাচার্যকে পাঠানো চিঠি।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে জানান, ‘‘আজকের দিন ধরলে অবসরের ৪ দিন বাকি। কেন এই নির্দেশ, তার কোনও কারণ লেখা নেই ওই চিঠিতে। মাননীয় উপাচার্যের অধিকার আছে, তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসি। ভালো, খারাপ লাগার ঊর্ধ্বে আমি। যখন বিশ্ববিদ্যালয় ডাকবে আমি আছি।’’বিশ্ববিদ্য়ালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও স্বীকার করে নিয়েছেন চিঠির বিষয়টা।