গোবিন্দ রায়: জগদ্দল গুলিকাণ্ডে দু'দিনে তিনবার থানায় তলব করা হয়েছে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে। তাঁর বাড়ি মজদুর ভবনেও হানা দিয়েছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করেছেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতা হওয়ার কারণেই তাঁকে হেনস্থা করছে পুলিশ।

বুধবার রাতে জগদ্দলের মেঘনা মিলের শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে যান ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলে নমিত সিং। এরপর অশান্তি বাড়তে থাকে, গুলি চলে বলে অভিযোগ। এই অশান্তি নিয়ে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, বুধবার রাতে মজদুর ভবনেই ছিলেন তিনি। আচমকা ২ রাউন্ড গুলির শব্দ পান। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা মোড়ের কাছে যান। অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, তিনিই ছিলেন হামলার টার্গেট। দু’পক্ষের বচসার মাঝে চম্পট দিতে গিয়ে জখম হন এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকায়। বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জখম যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এই ঘটনার রেশ ছিল বৃহস্পতিবারও। মেঘনা মোড়ের গুলিকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’বার থানায় ডেকে পাঠানো হয় অর্জুন সিংকে। কিন্তু একবারও তিনি থানায় হাজিরা দেননি। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে জগদ্দল থানার পুলিশ মজদুর ভবনে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অর্জুন সিংকে। তা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ মিথ্যে মামলায় বারবার হেনস্তা করছে। এরপর শুক্রবার সকালেও অর্জুন সিংকে তলব করে নোটিস পাঠানো হয় থানার তলবে। শোনা যাচ্ছে, এদিনই ব্যক্তিগত কাজে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছেন অর্জুন। তাঁর যুক্তি, "ডাকলেই যেতে হবে নাকি!" এদিকে অর্জুনকে হেনস্তার অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়েছেন আইনজীবী।