গোবিন্দ রায়: গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি (Group D Scam) মামলায় কড়়া মনোভাব নিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বুধবার বিচারপতির প্রশ্ন, যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়? এরপরই বিচারপতির মন্তব্য়, “যারা উপকার পেয়েছে তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে।” তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।
গ্রুপ ডি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, যাদের OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৬৯৮ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। তাদের মধ্যে ১৬৯৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছে। এরপরই সিবিআইকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন, যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়? সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতির বার্তা, তদন্তে গতি আনুন। তদন্তকারীদের কাছে জানতে চান, OMR Sheet বিকৃতির ফলে প্যানেল থাকা ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না?
[আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের জন্য বকা খেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এজলাসে বসেই আক্ষেপ, ব্যাপারটা কী?]
সিবিআই (CBI) এবং কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু বলেন, “এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা দরকার। এদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, যারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, তারাও এই দুর্নীতিতে সমানভাবে দায়ী। প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত হয় সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, “অনেকে সহযোগিতা করছেন, নাম আমরা বলছি না। কিন্তু যারা সহযোগিতা করছেন না তাদের সঙ্গে কী করতে হয় আমরা জানি।”
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এই ১৬৯৮ জন ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে।” আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।