অর্ণব আইচ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহকর্মীকে দিনের পর দিন সহবাস! বিয়ের চাপ আসতেই কলকাতার চাকরি ছেড়ে সোজা মুম্বই পাড়ি অভিযুক্তের। সেখানে পৌঁছেই পালটে ফেলেন মোবাইল নম্বরও। শুধু তাই নয়, ছল ছিল বিদেশে পালানোরও। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তকে দীপ চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করল কসবা থানার পুলিশ। যদিও তাঁর কিনারা পেতে রীতিমতো ঘাম ছোটে পুলিশের। এই অবস্থায় সোশাল মিডিয়ায় দীপের সঙ্গে 'চ্যাট' করে কর্মস্থলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। এরপরেই মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী অভিযুক্ত দীপের সহকর্মী। এর ফলে প্রত্যেকদিনই দু’জনের দেখা হত। আর সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একসঙ্গে দু’জন একাধিক জায়গায় বেড়াতে যান। অভিযুক্ত দীপ মহিলা সহকর্মীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সহবাস করেন বলে অভিযোগ। তারই জেরে মহিলা দীপকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এরপর থেকেই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করতে থাকেন দীপ। শুধু তাই নয়, রাতারাতি কলকাতার সংস্থার চাকরি ছেড়ে মুম্বইয়ে চলে যান। সেখানের একটি সংস্থায় চাকরি পান।
একেবারেই নির্যাতিতা ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দেন। এদিকে দীপের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত দীপের নাগাল পেতে হিমশিম খেতে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। এক্ষেত্রে সহায় হয় দীপের সমাজমাধ্যমে থাকা প্রোফাইল! জানা যায়, পুলিশ আধিকারিকরা ছদ্মনামে দীপের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এদিকে নতুন ‘বন্ধু’ মনে করে দীপও তাতে সাড়া দেয়। শুরু হয় চ্যাট! সেই সূত্রেই মুম্বইয়ের কোন সংস্থায় দীপ কাজ করেন, তা পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারে। পুলিশ আধিকারিকরা মুম্বইয়ের ওই সংস্থায় ফোন করে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হন। এর পরই কসবা থানার পুলিশের টিম মুম্বইয়ে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে, বিদেশে ‘পালানোর’ জন্য তৈরি হচ্ছিলেন দীপ। এমনকী, তাঁর ভিসাও তৈরি। বিদেশে যাওয়ার আগেই তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে যুবককে জেরা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
