অর্ণব আইচ: হজরত মহম্মদকে (Hazrat Muhammad) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমন পাঠাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আগামী ২০ জুন নারকেলডাঙা থানায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একই ইস্যুতে মুম্বই পুলিশও তাঁকে তলব করেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের নারকেলডাঙা থানা ছাড়াও কাঁথিতেও নূপুরের বিরুদ্ধে হয়েছে এফআইআর দায়ের। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছেন তৃণমূল নেতা আবু সোহেল। তিনিই কাঁথি থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য (Prophet Comment Row) করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আঁচ এসে পড়েছে বাংলার বিভিন্ন জেলাতেও। গত বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ হয়েছে। আগুনে পুড়েছে গাড়ি-দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বলেছিলেন, অন্য রাজ্যের নেতাদের করা অন্যায়ের ফল কেন ভুগবে বাংলার আমজনতা? তার চেয়ে বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে বাংলার বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হোক। চিঠি লেখা হোক রাষ্ট্রপতিকে। সেই পরামর্শ মেনেই এবার রাজ্যের একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হচ্ছে নূপুরের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: বাড়ির নিমগাছেই ছিল বাসা! ডালপালা কাটতেই উপদ্রব শুরু ‘অশরীরী’র, আতঙ্কে কাঁটা গৃহস্থ]
পুলিশ সূত্রে খবর, নূপুরের (BJP Leader Nupur Sharma) বিরুদ্ধে নারকেলডাঙা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৫৩(এ), ২৯৫(এ),২৯৮ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ রুজু হয়েছে। সোমবার পাঠানো হয়েছে সমনও। তবে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী আদৌ হাজিরা দেবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের জেরে দু, তিনদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ। নদিয়ার (Nadia) বেথুয়াডহরি স্টেশনে অবরোধ, ট্রেনে ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নদিয়া ছাড়াও অশান্তির আগুনে জ্বলেছে হাওড়া, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। যার জন্য একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিকেলে নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।