স্টাফ রিপোর্টার: পরিকাঠামো খাতে পিপিপি মডেলের (PPP Model) উপর জোর দিতে লগ্নির বান ডেকেছে কলকাতা বন্দরে (Kolkata Port)। ইতিমধ্যেই তিন প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি চূড়ান্ত। যার অন্যতম হলদিয়ার শালুকখালিতে হুগলি অয়েল অ্যান্ড গ্যাস টার্মিনাল লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে ৩০০ কোটি টাকার লিকুইড কার্গো জেটি নির্মাণ। ৩০ বছরের চুক্তিতে প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ওই সংস্থা। বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার।
তিনি জানান, এদিনই হলদিয়ায় (Haldia) অশোধিত তেল আমদানি, স্টোরেজ ও ডেসপ্যাচ টার্মিনাল গড়ে তুলতে ‘ফিজিবিলিটি রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার্স অ্যান্ড পলিমার লিমিটেড। চেয়ারম্যানের মতে, পিপিপি মডেলে খিদিরপুর ডকে অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণে ১৮০ কোটি টাকার যৌথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এখানকার নেতাজি সুভাষ ডকের ৪ নং বার্থের কাজ শেষের মুখে। ২, ৩ ও আউটার টার্মিনালের কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। গোটাটাই হবে পিপিপি মডেলে। মোট ৭৫০ কোটি টাকার এই তিন প্রকল্প ছাড়াও আগামী সাত-আট বছরের মধ্যে আরও ২৫০০ কোটি টাকা বেসরকারি লগ্নি (Private Investment) কলকাতা বন্দর পেতে চলছে বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা, বাংলায় এসে শিক্ষকতার আড়ালে জঙ্গি নিয়োগ, রহস্যময় চরিত্র রাকিব]
বিনীত কুমারের আরও বক্তব্য, হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে ৪০০ কোটি টাকায় গেট প্রশস্তকরণ ও জেটি দু’টির আধুনিকীকরণের প্রস্তাব রয়েছে। মূলত দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ উত্তরমুখী পণ্য পরিবহণকে মসৃণ করতেই এই ভাবনা। “পাশাপাশি ফ্লোটিং ক্রেনের সুবিধা বাড়াতে ৭৫ কোটি টাকায় পিপিপি মডেলে ডায়মন্ড হারবার ও সাগরে ১৫ বছরের চুক্তিতে ফ্লোটিং ক্রেন বসাতে চলেছি আমরা।” মন্তব্য তাঁর। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে কেপসাইজ জাহাজ টানার জন্য গভীর সমুদ্রে বেসরকারি উদ্যোগে দু’টি ফ্লোটিং ক্রেন বসলানোর পর উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়া করছেন স্বামী, সন্দেহ হতেই পুরুষাঙ্গে গরম জল ঢাললেন স্ত্রী]
পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের জন্য হুগলি নদীর নিচে যে টানেল তৈরির প্রকল্প রয়েছে, তার প্রাথমিক পরিকল্পনার কাজ চলছে। এই প্রকল্পও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হবে। শীঘ্রই এই বিষয়ে সমীক্ষা ও টেন্ডার ডাকার কাজ শুরু হবে।