সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রাতভর বৃষ্টি। তার প্রভাবে জলের তলায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কলকাতায় বেশ কিছু জায়গায় ভেঙেছে গাছও। তবে জলযন্ত্রণা দূর করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। আগামী ৪ ঘণ্টা আর বৃষ্টি না হলে কলকাতার কোথাও জলমগ্ন হয়ে থাকবে না বলেই আশ্বাস মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim)।
ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র দিকে নজর রাখতে বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভায় ছিলেন মেয়র। শুক্রবার দুপুরে 'ডানা' পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ। বলেন, "বেলা ১২টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ১১৯ মিলিমিটার, চেতলায় ৯৯ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত জল নামাতে পারে কলকাতা পুরসভা। তবে তার থেকে বেশি জল জমলে ৩-৪ ঘণ্টা সময় দিতেই হবে।" ঠনঠনিয়া-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। তিলোত্তমার রাস্তায় কোথাও জমেছে গোড়ালি জল। আবার কোথাও কোথাও সকালের দিকে হাঁটুজল জমতেও দেখা গিয়েছে।
ফিরহাদ আরও বলেন, "ঠনঠনিয়াতে গত ৫০ বছর ধরেই জল জমে। লো টাইডেও জল বিপদসীমার উপরে ছিল। তাই আমরা জল নামাতে লকগেট খুলতে পারিনি। পাম্পিং করা হয়েছে। এসএসকেএম থেকে বর্তমানে জল আর নেই। আর বৃষ্টি না হলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। কারণ, লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।" জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি রুখতে তৎপর পুরসভা। মেয়র জানান, "জল একেবারে না শুকনো পর্যন্ত কালীপুজোর জন্য লাগানো সমস্ত আলো বন্ধ থাকছে।" তবে বৃষ্টি না হলে আগামী ৩ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে, মেয়রের এই আশ্বাসকে 'ছেঁদো কথা' বলে কটাক্ষ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, "বাম আমলে কলকাতার নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। তাই আজকে কলকাতার মানুষ সুফল পাচ্ছেন। কলকাতার আদি বাসিন্দারা সব জানেন। মানুষ সব বোঝেন।"