সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধাননগর পুরনিগমে (Bidhannagar Municipal Corporation) মেয়রের দৌড়ে কে এগিয়ে কৃষ্ণা চক্রবর্তী নাকি সব্যসাচী দত্ত, তা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের পর জল্পনার অবসান। বিধাননগরের মেয়র হিসাবে কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উপরেই আস্থা রাখল তৃণমূল। চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। এছাড়া এদিন চন্দননগর এবং আসানসোলের মেয়রের নামও ঘোষণা করা হয়।
সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তী, দু’জনই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বহুদিনের সৈনিক। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন কাঁধে কাঁধ রেখে। তবে একজন মাঝপথে বদলেছিলেন রাস্তা। ২০১৫ সালে সব্যসাচী দত্ত যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (BJP)। অনাস্থার চাপে বিধাননগরের মেয়রের পদত্যাগ করতে হয়েছিল সব্যসাচীকে। এরপরই কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মেয়রের আসনে বসানো হয়েছিল। এসবের পর সব্যসাচীর ঘর ওয়াপসি হতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পুরভোটে যদি টিকিট পান সব্যসাচী, জিতে যান, সেক্ষেত্রে মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে কানাঘুষো চলছিলই। গত সোমবার পুরভোটের ফলপ্রকাশ হয়। সবুজ ঝড়ের কাছে পর্যুদস্ত হয় বিরোধীরা। বিধানগর পুরনিগমের দায়িত্ব কার কাঁধে দেওয়া হবে, তা নিয়ে চলছিল জোর আলোচনা।
[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল বিশেষ আদালত]
তবে শুক্রবার তৃণমূল জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকেই জল্পনার অবসান। বিধাননগরের দায়িত্ব ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী কৃষ্ণা চক্রবর্তীর (Krishna Chakrabarty) কাঁধে তুলে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল। মেয়রের নাম ঘোষণার পর কার্যত কেঁদে ফেলেন কৃষ্ণা। বিধাননগরের উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য বলে জানান তিনি। সব্যসাচীর গলাতেও মিলেমিশে কাজ করার সুর।
এদিকে, এদিন আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার মেয়রের নামও চূড়ান্ত হয়। ভোটে লড়াই না করেও আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। বারাবনীর বিধায়কও তিনি। ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক। চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণত পুরনিগমে একজন ডেপুটি মেয়রই থাকেন। তবে আসানসোলে দু’জনের নাম চূড়ান্ত হওয়ায় বিধানসভায় পুর আইনে সংশোধনী আনা হবে বলেই জানান ফিরহাদ হাকিম। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। চেয়ারম্যানের নাম এখনও চূড়ান্ত নয়।