shono
Advertisement

মিমির ইস্তফা: শতাব্দী, জুনের সঙ্গে তুলনা করেও মমতার কোর্টে বল ঠেললেন কুণাল

'লোকসভার মেয়াদ শেষের পর কেউ যদি যদি ইস্তফা দেয়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, নেত্রী দেখছেন।', বললেন কুণাল ঘোষ।
Posted: 06:42 PM Feb 15, 2024Updated: 06:50 PM Feb 15, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) ইস্তফা নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। বৃহস্পতিবার তিনি বিধানসভায় এসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”রাজনীতি আমার জন্য নয়, প্রার্থী হতে চাই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে লোকসভার স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠাব।” এটি নিতান্তই মিমির ‘ব্যক্তিগত বিষয়’ বলেও দলনেত্রীর কোর্টেই বল ঠেললেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বললেন, নেত্রী বিষয়টি দেখছেন। তবে অন্যান্য সেলিব্রিটি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মিমির তুলনাও করলেন কুণাল ঘোষ। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সাংসদ (TMC MP) পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসেবে মিমি ‘অপমানিত’ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে মিমি বলেন, “রাজনীতি আমার জন্য নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে? আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন। আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হলো?”

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফাপত্র দেন মিমি। তবে তা গৃহীত হয়নি এখনও। নিজস্ব চিত্র।

[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়, ইস্তফাপত্র দিয়েছি’, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর বিস্ফোরক মিমি]

এনিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ”লোকসভার মেয়াদ শেষের পর কেউ যদি যদি ইস্তফা দেয়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, নেত্রী দেখছেন। যেখানে ৫ বছর শেষে লোকসভার অধিবেশনও শেষ, সাংসদ পদের সমস্ত টাকা কাজে লাগানো শেষ, সমস্ত কমিটির মিটিং শেষ, তার পর যদি কেউ পদ ছাড়তে চান, তাহলে কিচু বলার নেই। আবারও বলছি, বিষয়টি আমাদের দলনেত্রী দেখছেন।”

[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]

এর পরই তিনি অন্যান্য সেলিব্রিটি জনপ্রতিনিধিদের তুলনা করেছেন। শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, রাজ চক্রবর্তীরা যেভাবে বিনোদন জগতে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকার পরও নিজেদের কেন্দ্রে দারুণ কাজ করে চলেছেন, তা প্রশংসনীয়। আলাদা করে তিনি উল্লেখ করেছেন দেবের কথা। কুণাল ঘোষের কথায়, ”হয়ত তাঁর নিজস্ব পেশায় কাজ আরও বেড়েছে। অথবা হয়ত এতদিন ধরে রাজনৈতিক কাজ করতে করতে ক্লান্তি লাগছে। তাই রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement