স্টাফ রিপোর্টার: আগামী চারদিনের মধ্যে জোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর আলিমুদ্দিন। তারজন্য বামফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে চারটি, আরএসপিকে (RSP) দু’টি ও সিপিআইকে একটি আসন ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে আসন ছাড়তে গিয়ে তাদের আত্মত্যাগ করতেই হবে বলে শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠকে শরিকদের জানিয়ে দেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। তার আগে অবশ্য ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে একদফা আলোচনা সেরে নেয় আলিমুদ্দিন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বাঁধ সাধছে আরএসপি। সূত্রের খবর, নিজেদের সম্ভাবনাময় আসন তাঁরা ছাড়তে নারাজ। আরএসপির ভয়, সম্ভাবনাময় দুটি আসন ছেড়ে দিলে দলের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। আগেই কংগ্রেসের জন্য নিজেদের আসন ছাড়তে হয়েছে তাঁদের।
বাম কংগ্রেস জোটের নয়া সঙ্গী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। চলে যাওয়া সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতেই জোট নৌকোয় তোলা হয় ভাইজানকে। জোট প্রক্রিয়ার শুরুতে আব্বাস সিদ্দিকিরা (Abbas Siddique) ৭০-এর বেশি আসন দাবি করায় প্রাথমিকভাবে এই প্রক্রিয়া ধাক্কা খায়। কিন্তু কংগ্রেস নমনীয় হতেই জোটের পথ মসৃণ হতে শুরু করে। প্রথমদিকে জোটের সভায় কংগ্রেস ছাড়াও বামফ্রন্টের সব শরিক হাজির থাকত। পরে ঠিক হয় ফ্রন্টের পক্ষ থেকে কংগ্রেস (Congress) ও ভাইজানের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে সিপিএম। সেইমতো কংগ্রেস ও ভাইজানের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে আলিমুদ্দিন। কংগ্রেসকে ৯০ এর দোরগোড়ায় এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ৩০টি আশেপাশে আসন ছাড়তে হতে পারে বলে এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে শরিক নেতৃত্বকে জানান বিমান বসু। ফলে সিপিএম (CPIM) ও কংগ্রেসের পাশাপাশি শরিকদের আসন ছাড়তে হবে বলে জানিয়ে দেন। সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা চিন্তাভাবনা করে শরিকরা আলিমুদ্দিনের প্রস্তাবে নিমরাজি হয় বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি, ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে ১৫ টি করে সভা মোদি-শাহর]
কিন্তু বিবাদ এখনও মেটেনি। বামেদের সব শরিক ভাইজানকে আসন ছাড়তে রাজি হয়নি বলেই সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, আব্বাস সিদ্দিকি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, বীরভূমের হাসনের মতো কংগ্রেসের জেতা এবং সম্ভাবনাময় আসন চেয়ে বসেছে। যা এখনও ছাড়তে রাজি হয়নি হাত শিবির। তবে, তাঁরা আইএসএফের জন্য দক্ষিণবঙ্গে আটটি আসন ছাড়তে রাজি বলে সূত্রের খবর। বুধবারের মধ্যে জোটের চিত্র স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছে ফ্রন্ট নেতৃত্ব। ২৮ তারিখ ব্রিগেডের সমাবেশ। তার আগেই বামেরা তাঁদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।