অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরা সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার চালাবে। একদিকে দল, অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ভালো কাজের প্রচার হবে সোশাল মিডিয়া (Social Media) জুড়ে। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) তরফে যেভাবে কুৎসা, অপপ্রচার, দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা কিংবা প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও সমানভাবে সোশাল মিডিয়ায় সরব হবেন তৃণমূলের (TMC) যুবরা। রবিবার হাওড়ার শরৎ সদনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে হওয়া সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে ‘ফ্যাম কনক্লেভ’-এ এসে একথা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শশী পাঁজা। এদিন এই ‘ফ্যাম কনক্লেভ’-এ সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ছাড়াও বিষয় ছিল ‘‘দিল্লিতে পরিবর্তন চাই ও বলছে বাংলার জনতা প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা।’’
এদিনের অনুষ্ঠানে সোশাল মিডিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শশী পাঁজা বলেন, ‘‘পর পর প্রজন্মের মধ্য দিয়ে এখন একটা পরিবর্তন এসেছে। সোশাল মিডিয়া একটা বড় বিষয় হয়ে রয়েছে। আগে ভোটের সময় আমরা সশরীর পৌঁছে প্রচার করতাম। সশরীর পৌঁছনোর আগে এখন সোশাল মিডিয়া পৌঁছে যাচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। এটা যত বেশি ব্যবহার করা যায় তত সরকারের কাজ, রাজ্য সরকারের দিকনির্দেশ, তার ভাবনাচিন্তা, মানুষের প্রত্যাশা সবটাই পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। এটাকে ব্যবহার করতেই হবে।’’
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় বিলকিস বানোর, ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই]
অন্যদিকে সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি কুৎসা ছড়াচ্ছে বলেও এদিন সরব হন মন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা, ফেক ভিডিওগুলো করে। একটা ‘ট্রোল আমি’ আছে। দেখবেন আপনি কিছু লিখবেন তার পিছনে তৈরি থাকবে কিছু মানুষ, বুঝলও না কী লেখা হল। কী বিষয়টা? কিন্তু তাদের জন্য তথাকথিত তৈরি স্ক্রিপ্ট থাকে। তারা সেটাকে ব্যবহার করে এবং দেখানো হয় যে কত মানুষ আপনার এই কথাটাকে খণ্ডন করেছে। আন্তরিকতা নেই সোশাল মিডিয়াতে, রয়েছে কর্পোরেট টাইপের কাজ। বিজেপি এভাবে সোশাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়িয়ে রাজ্যে অশান্তি পাকাতে চাইছে। বিজেপির এই কুৎসা বন্ধ করার জন্য ফ্যাম তৃণমূল সমানভাবে তার কাজ করছে। ফ্যাম তৃণমূল যেমন প্রচারও করবে রাজ্য সরকারের কাজের তেমন রাজনৈতিক দল তৃণমূলের আদর্শের কথাও তারা বলবে। এদিন কনক্লেভ-এ আমরা সেটাই বললাম যে অসত্য কথা, কুৎসা ও মানুষের মধ্যে বিভেদ কিংবা উত্তেজনা, প্ররোচনা তৈরি করার মতো এই পোস্টগুলো আমরা করি না। এটা বিজেপি করে।’’
[আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই কোলে আসুক রামলালা! আবদার যোগীরাজ্যের অন্তঃসত্ত্বাদের]
এদিন এই অনুষ্ঠানে শশী পাঁজা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ যুব তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।