সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে বড়সড় রদবদল হয়ে গেল। গোয়েন্দা বিভাগের এডিজি পদে এলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বস্ত মনোজকুমার বর্মা (Manoj Kumar Verma)। ফলে মনোজকুমার বর্মার দায়িত্ব এবং মর্যাদা আরও বাড়ল। ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রাজীব কুমার মিশ্রকে। তাঁকে আনা হয়েছে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এনফোর্সমেন্টর ডিরেক্টরেটে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে,পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (WB Police ADG) এবং আইজিপি আইবি’র (IG IB) পদ থেকে রাজীব মিশ্রকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে মনোজ বর্মাকে। এর আগে মনোজ বর্মা ছিলেন রাজ্যের নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত নির্দেশক পদে। এর সঙ্গেও একাধিক দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। সেই সব দায়িত্বের পাশাপাশিই নতুন এই দায়িত্ব দেওয়া হল মনোজকুমার বর্মাকে। একই সঙ্গে এডিজি সিআইডির পদ থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ ডিজিপি (প্রশিক্ষণ) পদে পাঠানো হয়েছে আনন্দ কুমারকে।
[আরও পড়ুন: কুকুর মারতে পেশাদার শুটার! বিহারে সরকারি নির্দেশে ২ দিনে মারা হল ৩০টি সারমেয়]
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আইবির শীর্ষপদে পরিবর্তন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল নেতারা বরাবর অভিযোগ করে আসছেন, রাজ্যে ভিনরাজ্য থেকে টাকা এবং অস্ত্র ঢুকছে। বিজেপি (BJP) আবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বারবার অভিযোগ করে আসছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগও বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দা বিভাগের দিকে কিছুটা হলেও আঙুল উঠছিল। সেই বিভাগে মনোজ বর্মার মতো দক্ষ আধিকারিককে বসাল রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে ববিতা, এবার পরেশকন্যার থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রাখার নির্দেশ হাই কোর্টের]
যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এই রদবদলের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক কারণও। আসলে বুধবারই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছে। এমনকী তাঁর দিল্লির বাড়ির সামনে দুই গোয়েন্দা আধিকারিক নজরদারি চালানোর সময় ধরা পড়েছিলেন বলেও দাবি করেন সুভাষ সরকার। তারপরই এই রদবদল।