সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুমে আলু-সহ অন্যান্য সবজির দাম কমার কথা। কিন্তু তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এর নেপথ্যে কালোবাজারি, অসাধু চক্র কলকাঠি নাড়ছে। কারা চালাচ্ছে এই চক্র? বৃহস্পতিবার নবান্নে বছরের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার কাছে জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দিলেন, এই চক্র ভাঙতে হবে। বেচারামের পালটা বক্তব্য, জেলাশাসক-পুলিশ সুপারকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে। চক্র ভাঙাটা সরকারের দায়িত্ব বলে জানান তিনি। তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, সরকারের কাজ কি চক্র ভাঙা নাকি সরকার চালানো?
চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় মাসখানেক আগে আলু রপ্তানি নিয়ে কড়াকড়ি ছিল রাজ্য সরকারের তরফে। ভিনরাজ্যে যাতে অবৈধভাবে আলু চলে না যায়, তার জন্য নবান্নের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও আলুর দাম সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর মতে, এভাবে দামবৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে অসাধু ভোটিং মার্কেট। বেচারামের কথায়, ''ক্রিকেটে বেটিং চক্রের মতো এখানেও একটা চক্র কাজ করে। যারা আগেরদিন সন্ধেবেলা বসে ঠিক করে, পরেরদিন আলুর দাম কী হবে। মনোপলি চলে। এই চক্রটাকে ভাঙতে হবে।''
তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ''এরা কারা? এই চক্রে কারা রয়েছে?'' বেচারাম জানান, ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে তালিকা দেওয়া হয়েছে। এই চক্র বন্ধ করতে হবে। একথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী আরও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ''চক্র সরকার চালাবে না সরকার চক্র চালাবে?'' তাঁর আরও বক্তব্য, "বাজারে নতুন আলু উঠছে। এখনই অনেকে বলবে, কোল্ড স্টোরেজের আলু বের করে দিন। আমি জানি, মেদিনীপুর ও গড়বেতার কিছু ব্যবসায়ী এই অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাঁদের ধরুন, ব্যবস্থা নিন।" এরপরই ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।