সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি। ষড়যন্ত্রের দাবি করে সরাসরি নিশানা করলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay)। বললেন, "প্রথম কলকাতা হাই কোর্টের এক বিচারপতি চাকরি বাতিলের কথা বলেছিলেন। তিনি এখন বিজেপির সাংসদ। কী হয়েছে, সবটা বুঝতে পারছেন।"
যোগ্যরা বঞ্চিত, অযোগ্যরা এসএসসিতে চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে কয়েকবছর আগেই উত্তাল হয় বাংলা। পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। জল গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু করেন। ২০২১ সালে ২১ নভেম্বর গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের প্য়ানেল তদন্তের আওতায় চলে আসে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার চাকরি বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ৭ হাজার চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গও ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ২৫, ৭৫২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতেই সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, "প্রথম কলকাতা হাই কোর্টের এক বিচারপতি চাকরি বাতিলের কথা বলেছিলেন। তিনি এখন বিজেপির সাংসদ। কী হয়েছে, সবটা বুঝতে পারছেন।" হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন,"আমরাও রেকর্ড খুঁজে বের করব। একটা জেলায় কীসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে আমি জানি।" ফের বাম আমলে চিরকুটে চাকরির অভিযোগ তুললেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, দিল্লির বিচারপতির যশবন্ত বর্মার প্রসঙ্গও তুললেন মমতা। যদিও এত বড় দুর্নীতির পর বিচারপতি ইস্তফা দিতে না হয়, তাহলে কেন এত মানুষের চাকরি বাতিল হল সেই প্রশ্ন তুললেন। বললেন, "প্রয়োজনে বদলি করতে পারত, কিন্তু বাতিল কেন।" তবে বুঝিয়ে দিলেন, চাকরিহারাদের পাশে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের জন্য লড়বেন তিনি।