ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য সরকারের 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের অর্থ নয়ছয়ের হাজার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তার আঁতুড়ঘর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। এহেন জালিয়াতির নেপথ্যে জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগসাজশ রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ। এবার তাকেই মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ট্যাব দুর্নীতি জামতাড়া গ্যাংয়ের কারসাজি বলে জানালেন তিনি। জানালেন, এসব রুখতে এবার বিশেষ মেকানিজমের মাধ্যমে নয়া আইনের ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।
এদিন বিধানসভায় একাধিক প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমরা সবাইকে সহজ-সরল মনে বিশ্বাস করি। কিন্তু সবাই সমান নয়। তাই আইন করা। আমরা ধরতে পেরেছি যে জামতাড়া গ্রুপ ট্যাবের জন্য দেওয়া জনগণের টাকা হ্যাক করছে। ১৬০০ কোটি টাকা আমরা খরচ করেছি পড়ুয়াদের ট্যাব দিতে। অনেকে ধরা পড়েছে। আমরা বাটাকা দিয়ে দেব। তবে এবার একটা মেকানিজম করছি যাতে এই জিনিস করলে কঠোর শাস্তি হবে। গুজরাটে এই দুর্নীতি হয়েছে। তারা ধরতেও পারেনি। আমরা ধরে নিয়ে এসেছি। কান টানলে মাথা আসে।''
পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে যে টাকা পাওয়ার কথা সেই অর্থ তছরূপের ঘটনায় জেলা এবং কলকাতা পুলিশের তরফে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে বেশ কয়েকজন। বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের। সেখান থেকেই এই জালিয়াতির সূত্রপাত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যেভাবে অ্যাকাউন্ট জালিয়াত হয়েছে, তাতে জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এবার সেই জামতাড়া গ্যাংয়ের কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, জালিয়াতি রুখতে বিশেষ মেকানিজমের সাহায্যে নয়া আইন আনার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।